বরগুনার পাথরঘাটায় পল্লী বিদ্যুতের লাইনম্যান তার চুরি কারার সময় গ্রহক বাঁধা দিতে গেলে এক নারীসহ সেন্টু ও জলিল নামের তিন গ্রাহককে মারধর করার অভিযোগ ওঠেছে। শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের আমতলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পাথরঘাটা থানার ওসি মোঃ আবুল বাশার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
জামাল মিয়া জানান, আমাদের এলাকা থেকে প্রায়ই ট্রান্সফর্মা চুরি হয়। পরে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের টাকা দিয়ে ট্রান্সফর্মা কিনতে হয়। আজ আমতলা বাজার থেকে তার চুরি করতে এলে আমি তাদের বাধাঁ দেই। এজন্য আমাকে তার দিয়ে বিদ্যুতের লোকজনে মেরেছে। আমার ভাই ভাবি ছাড়াতে এলে তাদেরও মারধর করেছে। আমি তাদের এই নির্যাতনের বিচার চাই বলে জানান।
স্থানীয় প্রত্যক্ষকারি শাহিন ও নুরনবী জানান, চার জন বিদ্যুৎ কর্মী বেলা একটার দিকে আমতলা বাজারের একটি বিদ্যুতের খুটি থেকে গ্রাহক সঞ্চালন লাইনের তার কাটা শুরু করে। এ সময় প্রথমে জলিল নামের এক কৃষক বাধা দেয়। এ নিয়ে বিদ্যুতের লোকদের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায় বিদ্যুৎ কর্মীরা জলিলকে তার দিয়ে পিটিয়ে যখম করে। বিষয়টি দেখে জলিলের ভাবি আইরিন বেগম ও সেন্টু মিয়া ছাড়াতে আসলে তাদেরকেও মারধর করে বিদ্যুৎ কর্মীরা। এ সময় এলাকার লোকজন জড়ো হয়ে বিদ্যুত কর্মীদের একটি ঘরের মধ্যে আটকে রেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে থানা কর্তৃপক্ষ তাদের নাম পরিচয় শনাক্ত করে জানতে পারে একজন শরিফুল ইসলাম লাইনম্যান-১ ও তার ৩জন সহকারি বলে জানান।
পাথরঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের সহকারি প্রকৌশলী শুনিল চন্দ্র হাওলাদার জানান, আমার নির্দেশে বিদ্যুৎ কর্মীরা তার কাটতে গেছিল। গ্রহকরা আমাদের সরকারি কাজে বাঁধা দেয়ায় আমি থানায় একটি মামলা করেছি। এখন পুলিশ যা করার করবে।
পাথরঘাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন জানান, সামান্য বিষয় নিয়ে পল্লী বিদ্যুতের এটা বারাবাড়ি। নিজেদের অপরাধ ঢাকতে নিরিহ মানুষকে হয়রানী করা এখন পল্লী বিদ্যুতের নিয়মে পরিনত হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে গ্রাহকদের সাথে ঝামেলা বাড়বেসয় কমবেনা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
পাথরঘাটা থানার ওসি মোঃ আবুল বাশার জানান, সরকারি কাজে বাধাঁ দেয়ার অভিযোগ এনে পল্লী বিদ্যুত অফিসের পক্ষ থেকে একটি মামলা হয়েছে। আমাদের আইনগত ব্যাবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।