রংপুরের পীরগঞ্জে নির্ধারিত সময়ে ২টি ব্যজ নির্মিত না হওয়ায় ৬ লাখ মানুষের ভোগান্তির অবসান আজও হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল ওই ব্রীজ দুটি নির্মানের। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদরকে বেধে দেয়ার সময়েও পরেও এক বছর অতিবাহিত হয়েছে। অথচ এখনও অর্ধেক কাজ শেষ হয়নি। বিগত ২০১৩ সালে ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে উপজেলার পশ্চিমে সীমান্ত ঘেষা করতোয়া নদীতে টুকুরিয়া ইউনিয়নের জয়ন্তীপুর ঘাট এবং চতরা ইউনিয়নের ন্যুনদহ ঘাটে দুটি ব্রীজ নির্মানে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ শীর্ষ প্রকল্পের আওতায় ওই স্থানে দুটি ব্রীজ নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করেন কর্তৃৃপক্ষ। ২০১৯ সালে ২২শে ফেব্রুয়ারী পীরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের স্পিকার ড: শিরিন শারমিন চৌধুরী ব্রীজ দুটির ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন। প্রকল্পটি ২০২০ সালের ৬ই ডিসেম্বর ৯১৫ দিনে সমাপ্তির মেয়াদকাল থাকলেও বর্তমানে প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জানা গেছে ন্যুনদহ ঘাটে ২৭ কোটি ২২ লক্ষ টাকা ও জয়ন্তীপুর ঘাটে ২৯ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা নির্মাণ ব্যয় ধরে কাজ শুরু করা হয়। এই প্রকল্প স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর তদারকী করছেন। ৩০১ মিটার দৈর্ঘ্য ৯.৮ মিটার প্রস্থ সেতু নির্মানের জন্য পিপিএলকিউসিজেডি নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ব্রীজ দুটি নির্মান কাজের দায়িত্ব পেয়েছেন। সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ পেয়েই ৭৬ টি পাইল, ২৮ টি গার্ডার ও ৭ টি স্প্যান হবে বলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করলেও বর্তমানে সেই গতি আর নেই। ফলে মুখ থুবরে পড়েছে সেতু নির্মাণের কাজ। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পীরগঞ্জ ও ঘোড়াঘাট ও নবাবগঞ্জ,বিরামপুর উপজেলার মাঝে সেতু বন্ধনের সৃষ্টি হয়ে দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দর থেকে পন্য পরিবহন, ব্যাবস বাণিজ্য, কৃষি পন্য যাতায়াতের সুবিধা সেই সাথে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তাবায়নসহ সেতুর দুই পাড়ের ৬ লক্ষ লোকের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে। ২০২০ সালে ৯ই ফেব্রুয়ারী ন্যুনদহ ঘাটের ব্রীজটি প্রথম স্প্যানের কাজ দৃশ্যমান হলেও বর্তমানে সেতু দুটি নির্মানে চূড়ান্ত সময় শেষ হলেও নির্মানকাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল সুত্র জানায়, জয়ন্তীপুর ব্রীজটি ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ এবং নুনদহ ব্রীজটি ২২শে অক্টোবর পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল হক এর নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন বর্ধিত সময়ের মধ্যেও কাজটি সম্পন্ন করা যাবে না। তবে আমি সার্বক্ষণিক চেষ্টা করব দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্রীজ দুটি নির্মাণ কাজ যাতে সমাপ্ত করা যায়। এ বিষয়ে উপজেল প্রকৌশলী মশিউর রহমানেরসাথে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। এ দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে কথা হলে তারা জানান, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই ব্রীজ দুটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হলেই প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নসহ এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে।