মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার পার্শ্ববর্তী চরাঞ্চল থেকে ভেসে গেছে শতাধিক মহিষ। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার বড়মলংচড়া ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে জেগে উঠা জেলেরচর থেকে এই মহিষগুলো ভেসে যায়। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ এবং পূর্নিমার প্রভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার কারণে গত কয়েক দিন মেঘনা নদীর জোয়ারে পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৪ ফুট বেড়ে যাওয়ায় প্রচন্ড স্রােতের টানে মহিষগুলো ভেসে যায়।
সোমবার সকালে রামগতি উপজেলা মহিষ মালিক সমিতির সভাপতি মো. সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদ হোসেন জানান, উপজেলার দুর্গম ও বিচ্ছিন্ন চর গজারিয়ার পাশেই ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার বড়মলংচড়া ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে জেগে উঠা জেলেরচর। দীর্ঘ দিন ধরে এই চরে রামগতি, কমলনগর ও দৌলতখান উপজেলার ২০ জন মালিকের ৩টি বাতানে অন্তত দুই সহস্রাধিক মহিষ লালন পালন করে আসছে। গত কয়েক দিন ধরে মেঘনা নদীর জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়ে পুরো চর এলাকা পানিতে ডুবে যায়। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে ওই অস্বাভাবিক জোয়ারের পানির প্রচন্ড স্রােতের টানে এই চর থেকে রামগতি উপজেলার মোস্তফা চেয়ারম্যান, জাহিদ, রুবেল, গিয়াসউদ্দিন, কমলনগর উপজেলার স্বপন, মাখন লাল সাহা, দৌলতখান উপজেলার বশির মেম্বার, মসু মেম্বারসহ বিভিন্ন মালিকের শতাধিক মহিষ ভেসে যায়। আশপাশের চর গুলোতে এই মহিষগুলোর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। চর মুজাম্মেল, চর জহির উদ্দিনসহ মনপুরা, চরফ্যাশন, দৌলতখান উপজেলার বিভিন্ন চর এলাকায় মহিষগুলো ভেসে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।
স্বপন, জাহিদ, গিয়াউদ্দিনসহ কয়েকজন মহিষ মালিক বলেন, গবাদিপশুর আশ্রয়ের জন্য চর এলাকায় কোন ধরণের উচুঁ জায়গা বা মাটির কিল্লা না থাকায় ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের সময় গবাধিপশুর মালিকদের আতঙ্কে থাকতে হয়।
ভোলার তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস. এম. জিয়াউল হক জানান, মলংচড়া ইউনিয়নের চরাঞ্চল থেকে জোয়ারের পানিতে মহিষ ভেসে যাওয়ার ঘটনায় এখনো মালিক পক্ষের কেউ জানাননি বা সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেনি। কেউ জিডি করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে ওসি জানান।