রংপুরের তারাগঞ্জে যমুনেশ্বরী নদীর গর্ভে চলে গেছে উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের ঘাটিয়াল পাড়া গ্রামের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি। এরফলে ঘাটিয়াল পাড়া, উজিয়াল, মাছুয়া পাড়া, কাশিয়াবাড়ি ও কালুরঘাটপাড়াসহ পাঁচটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে নিত্য দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের কাশিয়াবাড়ী ঘাটিয়ালপাড়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে যমুনেশ্বরী নদী। খরার সময় নদীতে হাঁটু পানি থাকলেও বর্ষাকালে এই নদী রুদ্ররুপ ধারন করে। এ সময় নদীর দুই পাড়ে ভাঙ্গন দেখা দেয়। এমন এক ভাঙ্গনে ভেঙ্গে গেছে ঘাটিয়ালপাড়ার যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি।
স্থানীয়রা জানায় প্রথম দফায় ২০২০ সালের বন্যায় কাশিয়াবাড়ী ঘাটিয়ালপাড়ার রাস্তাটি নদীতে ভেঙ্গে যাওয়ায় ঐ এলাকার লোকজন গ্রাম থেকে বাঁশ সংগ্রহ করে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মান করেছিলেন। কিন্তু ২০২১ সালে ২য় বারের বন্যায় সেটি আবার ভেঙ্গে যায়।
ভাঙ্গন কবলিত ঘাটিয়াল পাড়া গ্রামের নুর হোসেন, মোরশেদ আলী, আজিয়া বেগম ও ফাতেমা বেগমসহ একাধিক গ্রামবাসীরা জানায় ,সড়কটি ভেঙ্গে নদীতে যাওয়ায় সড়কের রাস্তায় বাসের সাঁকো নির্মাণ করে পারাপার করা হচ্ছিল। কিন্তু পরের বন্যায় সেটিও নদীতে চলে গেছে। এ বছরও গ্রামবাসীরা চাদা তুলে বাসের শাখা নির্মাণ করেছে। বর্তমানে সেটিও নড়বড়ে হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে হাড়িয়ারকুঠি ইউপি চেয়ারম্যান কুমারেশ রায় বলেন, আমি জন প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর ওই সড়ক ও নদী ভাঙ্গনের বিষয়ে উপজেলা মাসিক সমন্বয় কমিটিতে রেজুলেশন আকারে জানিয়েছি। বেশ কয়েক বার এলজিআইডি উপজেলা প্রকৌশলীকে জানিয়েছি।কিন্তু নদীতে বাঁধ না দেওয়ায় কোনোভাবেই ভাঙ্গন ঠেকানোর সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি একাধিকবার সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডেও জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে এলজিআইডি তারাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আহমেদ হায়দার জামান জানান, সড়কটি ভাঙ্গনের বিষয়ে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রয়োজনে বরাদ্দ পেলে সেখানে ব্রিজ নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে। আপাতত রাস্তাটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান সাহেবকে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জানান বিষয়টি আমার জানা ছিল না আপনাদের মাধ্যমে জানলাম দায়িত্ব রত প্রকৌশলীকে ঘটনা স্থলে পাঠানো হবে।