বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাধারণ আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণ ( পুরুষ ) ৬ ষ্ঠ ধাপে সমাপনী কুচকাওয়াজ ১৭ আগস্ট, বুধবার বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমি, সফিপুর, গাজীপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাপনী কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সালাম গ্রহণ করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান, এনডিসি, পিএসসি। এ সময় অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার ফরিদ হাসান, বিজিবিএম, পিবিজিএম (বার), এনডিসি, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমি'র কমান্ড্যান্ট অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোঃ সামছুল আলম - সহ বাহিনীর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা - কর্মচারী ও সদস্য - সদস্যাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সকাল ৯ টায় ইয়াদ আলী প্যারেড গ্রাউন্ডে অশ্বারোহী দলের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে মাঠের পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে আগমন করেন প্রধান অতিথি। লাল গালিচায় মোড়ানো সুসজ্জিত খোলা সবুজ জিপ - এ তিনি প্রতিটি কন্টিনজেন্ট পরিদর্শন করেন। পরে প্যারেড কমান্ডার উপ - পরিচালক সঞ্জয় চৌধুরী এর নেতৃত্বে প্যারেড ৬ ( ছয় ) সারিতে মার্চ পাস্ট করে প্রধান অতিথিকে অভিবাদন জানায়। নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থের দিকে হাত তুলে দৃঢ় মনোবলে বাংলাদেশের সংবিধানের প্রতি অটল থেকে দেশ ও দেশের মানুষের সেবায় নিজের জীবন উৎসর্গ করার শপথ গ্রহণ করে প্রশিক্ষণার্থীরা। তাদের মধ্যে হতে শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি। মোট ৯৮৬ জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে ড্রিল - এ প্রথম স্থান অর্জন করেন মোঃ রাসেল হোসেন, ফায়ারিং - এ সেরা মোঃ কবির হোসেন আর সব মিলিয়ে চৌকস প্রশিক্ষণার্থীর পুরস্কার লাভ করেন সুজন লাকড়া। সাধারণ আনসাররা প্রশিক্ষণ শেষে অঙ্গীভূত হয়ে সরকারি - বেসরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান যেমন- জাতীয় সংসদ ভবন, বিমান বন্দর, সমুদ্র বন্দর, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু টানেল, মেট্রোরেল হাসপাতাল, হোটেল, মোটেল ও ইপিজেডসহ অন্যান্য সংস্থায় নিরাপত্তা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছ। বর্তমানে সারা দেশে ৫ হাজার ১ শ ১৪ টি প্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজারের অধিক সাধারণ আনসার অঙ্গীভূত হয়ে দেশের জননিরাপত্তায় অবদান রেখে চলেছে। এছাড়াও জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের সকল স্তরের নির্বাচন, বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব, বর্ষবরণ, শপিং মল, বাণিজ্য মেলা ও বই মেলা, রেল স্টেশন, ট্রাফিক কন্ট্রোল, কোভিড -১৯ বিশেষায়িত হাসপাতালসহ প্রভৃতি ক্ষেত্রে সাধারণ আনসার সদস্যরা জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছে। প্রধান অতিথি নবাগত সকল সদস্যদের পেশাগত ক্ষেত্রে সততা, নিষ্ঠা, আনুগত্য ও ন্যায়পরায়ণতার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি উন্নত শৃঙ্খলা বজায় রেখে সুন্দর ও মানবিক আচরণের মাধ্যমে সকল ক্ষেত্রে অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি, অনৈতিক ও শৃঙ্খলা বহির্ভূত কার্যকলাপ হতে দূরে থেকে জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ে তুলতে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে পেশাগত ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার প্রত্যাশা করেন। বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মনেপ্রাণে ধারণ করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ থেকে আত্মমর্যাদার সাথে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করে বাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।