বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ডিম আমদানি করতে গেলে তো একটু সময় তো লাগবে। আমরা একটু দেখি কী করা যায়। যদি এমনটিই সত্যি হয় যে, ডিম আমদানি করলে পরে এটা (দাম) কমবে, তা হলে প্রয়োজনে আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলব।
বুধবার (১৭ আগস্ট) সচিবালয়ে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) এক কোটি পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কৃষি মন্ত্রণালয়, মৎস্য মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটা মন্ত্রণালয় ডিমের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে কীভাবে কমানো যায় সেই চেষ্টা করছি। তবে সব কিছু কিন্তু রাতারাতি করা সম্ভব নয়।
ডিমের হালি ৫০ টাকার বেশি, খামারিরা বলছেন, মুরগি ‘কমেছে বলে’ এমনটি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা কৃষি মন্ত্রণালয়, মৎস্য মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটা মন্ত্রণালয় ডিমের ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করে কীভাবে কমানো যায়, সেই চেষ্টা করছি। তবে সব কিছু কিন্তু রাতারাতি করা সম্ভব নয়।
গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীতে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ডজনে ৪০ টাকা বেড়ে ১৬০ টাকায় উঠেছে। এর আগে কখনই ডিমের দাম এতটা বাড়তে দেখা যায়নি। ডিমের সঙ্গে ব্রয়লার মুরগিও কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ২০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সেই সিদ্ধান্ত হয়নি এখনো। আলোচনা চলছে। বিশ্ব বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমেছে, আবার ডলারের দাম বেড়েছে। এ দুটিকে বিবেচনায় নিয়ে একটি দাম নির্ধারণ করতে হবে। আমরা সেই চেষ্টাই করছি।