জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুর পর গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা হবে আর মাত্র কযেকদিন পরেই। সভা সমাবেশ ও গণসংযোগে নিজেদের ব্যস্ত রেখেছেন সম্ভব্য প্রার্থীরা। কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ছুটে চলছেন সাধারণ মানুষের মাঝে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভোট নিয়ে চলছে নানা ধরনের বিশ্লেষন। এ উপ নির্বাচনে এবার তরুণ প্রার্থীর আধিক্য বিদ্যমান। তরুন প্রার্থী এগিয়ে আসুক, এমন আশা সাধারণ ভোটারদেরও।
আসনটিতে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করে নির্বাচনী মাঠে সরব হয়ে উঠেছেন, ফজলে রাব্বী মিয়ার মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলী, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন, সাঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও অবিভক্ত বাংলার সাবেক প্রয়াত কৃষিমন্ত্রী আহমেদ হোসেন উকিলের নাতি মাহবুবুর রহমান নিটল, ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম সেলিম পারভেজ ও যুবলীগ নেতা শুশীল চন্দ্র সরকার। বিএনপি থেকে জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক ছাত্রদল নেতা কামরুজ্জামান সোহাগ। তারা সবাই বয়সে তরুণ।
দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসন। প্রয়াত ডেপুটি স্পিকারের ইমেজ কাজে লাগানোর পাশাপাশি বিগত দিনে উন্নয়নের ধারা বজায় রাখা সহ অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন, তাঁর মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলী। গেল সম্মেলনে তিনি ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বয়সে তরুন।
আওয়ামী লীগের আরেকজন মনোনয়ন প্রত্যাশী ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন। তিনিও বয়সে তরুণ। তাঁর নেতৃত্বে সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো অনেক সুসংগঠিত রয়েছে। দির্ঘদিন ধরে মাঠে ময়দানে তৃণমুল নেতাকর্মি সমর্থকদের কাছে গিয়ে কর্মকা- পরিচালনা করে আসছেন এই নেতা। এদিকে আ.লীগের আরও দুজন প্রার্থী রয়েছেন, তারও বয়সে তরূণ। একজন মাহবুবুর রহমান নিটল। অপরজন শুশীল চন্দ্র সরকার। অন্যদিকে দুই উপজেলায় নানা ভাবে জনগন ও নেতাকর্মির পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির তরুণ নেতা সাবেক ছাত্রদল নেতা ও জেলা বিএনপির সদস্য কামরুজ্জামান সোহাগ। দলের ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সম্মেলন, কমিটি গঠন সহ নানা সভা সমাবেশ করছেন। তিনি মনে করেন, সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা বোকামী। তবে দলের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে প্রার্থী হবেন। মাঠে ময়দানে দলীয় সভা সমাবেশে যোগ দিয়ে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি। কামরুজ্জামান সোহাগ বলেন, মানুষের পাশে থেকে সাড়াজীবন কাটিয়ে দিতে চাই। ছাড়াও নির্যাতিত ত্যাগী নেতাকর্মিদের সহযোগীতা করে যাচ্ছেন সেহাগ। এরই মাঝে তিনি তরুণদের মাঝে বেশ আলোচিত হয়েছেন। আগামীতে এলাকার তরুণ সহ সবাইকে এক কাতারে এনে উন্নয়নে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে চান এই নেতা।