লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় গৃহবধূ লায়লা নূর মজুমদার নিপুকে (২৪) হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তার পরকীয়া প্রেমিক মো.সোহাগ। গ্রেপ্তারকৃত কামাল হোসেন হত্যায় দায় স্বীকার লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে জানিয়েছেন পুলিশ। রোববার দুপুরে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিবত করেছেন। তিনি জানান,উদ্ধাকৃত নারীর মৃতদেহ পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের নালঘর গ্রামের আবুল কাশেম মজুমদারের মেয়ে লায়লা নুর নিপু (২৫)। এ ছাড়া ওই এলাকার আরিফুর রহমান নামে এক দুবাই প্রবাসীর স্ত্রী। এর আগে ১৮ আগস্ট দুপুরে রায়পুর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের চরপলোয়ান গ্রামের গনি মিয়ার সুপারি বাগান থেকে লায়লার অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন সকালে নিহতের স্বজনরা এসে মৃতদেহ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় লায়লার মোবাইলসহ সোহাগ হোসেনকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া অপর আসামি রফিক পলাতক রয়েছে। সে সোহাগের এলাকার বাসিন্দা।
থানা পুলিশ সূত্র জানায়, আসামি সোহাগের সঙ্গে লায়লা বাড়ি থেকে বের হয়ে আসেন। পরে লায়লাকে শ্বাসরোধ হত্যার পর মরদেহ সুপারি বাগানে ফেলে রাখে সোহাগ ও তার বন্ধু মো. রফিক। হত্যার পর রফিক লায়লাকে ধর্ষণ করে। পরে সোহাগ ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। লায়লা কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের দুবাই প্রবাসী আরিফুর রহমানের স্ত্রী।
পুলিশের ভাষ্যমতে জবানবন্দিতে সোহাগ জানান, তার সঙ্গে লায়লার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমের টানে লায়লা বাবাবাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে ১৬ আগস্ট তার সঙ্গে পালিয়ে আসেন। সোহাগ তার বন্ধু রফিকের প্রলোভনে একইদিন বিকেলে লায়লাকে নিয়ে রায়পুরের চরপলোয়ান গ্রামে রফিকের মামির বাড়িতে আসেন। ওই বাড়িতে তারা (সোহাগ ও লায়লা) শারীরিক সম্পর্ক করে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ওই রাতে রফিকের মামি তাদের ঘর থেকে বের করে দেন। পথে সুপারি বাগানে সোহাগ ও রফিক শ্বাসরোধ করে লায়লাকে হত্যা করেন। হত্যার পর রফিক তাকে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে তারা মৃতদেহটি বাগানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা।
এ ঘটনায় নিহতে বাবা আবুল কাশেম বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে রায়পুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।