মেহেরপুরের গাংনীতে ছাত্রলীগ-বিএনপির ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ১১ নেতাকর্মীর নামে মামলা করা হয়েছে। রোববার দিবাগত মধ্যে রাতে গাংনী সরকারী ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামীদের মধ্যে রয়েছে গাংনী পৌর যুবদলের সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর সাহিদুল ইসলাম,সাধারন সম্পাদক সাবেক কাউন্সিলর এনামুল হক,পৌর সেচ্ছাসেবকদলের সাধারন সম্পাদক জামাল উদ্দীন ও ধানখোলা ইউনিয়ন ক অঞ্চল আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সমসের আলী।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আবদুর রাজ্জাক বলেন, গত ১৩ আগস্ট গাংনী বাজারে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উপর হামলার অভিযোগে সরকারী ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ২০/২৫ জনের বিরুেেদ্ধ একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ১৭ তাং ২১.০৮.২২ ইং। মামলাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মামলার বাদী সরকারী ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ বলেন, গত ১৩ আগস্ট শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা গাংনী সরকারী ডিগ্রী কলেজ চত্তর থেকে একটি মিছিল বের হয়ে গাংনী বাজারে পৌছালে বিএনপি নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আর্তকিত হামলা করে। একারনে তিনি ১১জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মেহেরপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন বলেন,ঘটনার দিন বিএনপির ৪/৫জন নেতাকর্মী অফিসে বসে গল্প করছিলেন। এ সময় হঠাৎ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে বিএনপির অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। হামলার দৃশ্য গণমাধ্যমের পাশপাশি সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমেও রয়েছে। সেই ভিডিও দেখলে জানা যাবে করা আগে বিএনপি অফিসে হামলা করেছে। নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতেই বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা করা হয়েছে। অবিলম্বে মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি করে পুলিশী হয়রানি বন্ধের আহবান জানান।
এবিষয়ে বক্তব্য জানতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে (সোমবার বিকাল ৪টার সময়) কয়েক বার কল দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।