সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ১লাখ টাকা চাঁদার দাবীতে রাস্তার ইট তুলে দিয়ে ঠিকাদারকে মারপিট করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ওই ঠিকাদার বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় ৩জনের নাম উল্লেখ্য করে একটি এজাহার দাখিল করেছেন। কিন্তু এজাহার দেওয়ার পরেও থানা পুলিশ মামলা রেকর্ড না করায় ওই ঠিকাদার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে সোমবার (২২আগস্ট) বিকেলে সাংবাদিকের কাছে এ অভিযোগ করেন। ঘটনাটি ঘটেছে, রোববার (২১আগস্ট) কলারোয়া পৌর সদরের মির্জাপুর গ্রামে। আহত ঠিকাদার মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক জানান-তিনি একজন প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার। কলারোয়া পৌরসভার মির্জাপুর গ্রামস্থ জনৈক নজরুল ইসলামের বাড়ী হতে নয়ন হোসেনের বাড়ী পর্যন্ত ১৬৫ ফুট রাস্তা ইটের সলিং করণের কাজ টেন্ডার পান। সে অনুযায়ী তিনি ১৬ আগস্ট ওই রাস্তায় ইটের সলিং কাজ শুরু করেন। কিন্তু রাস্তার কাজ শুরুতে মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে তবিবুর রহমান, সমুন হোসেন ঠিকাদারের কাজে বাধা দিয়ে ১লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে হুমকী ধামকী প্রদান করে। সেই থেকে চাঁদাবাজদের ভয়ে ওই রাস্তা নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখা হয়। এরপর থেকে মিজানুর রহমান প্রতিনিয়ত হুমকী দিয়ে আসছে। এ নিয়ে এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে ২১ আগস্ট বেলা ১২টার দিকে ওই রাস্তায় ইটের সলিং এর কাজ শেষ করি। পরে ওই ৩ চাঁদাবাজ জানতে পেরে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মির্জাপুর জনৈকি আবুল হোসেনের বাড়ীর সামনে উপস্থিত হয়ে জনসাধারণের যাতায়াতের সরকারি রাস্তার ইট তুলে ফেলে দেয়। এতে প্রায় ৪৫ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন হয়। বিষয়টি লোকমুখে শুনে তিনি ঘটনা স্থানে গিয়ে তাদের বাধা দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ঠিকাদার মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ও সমাজসেবক নয়ন হোসেন ধরে এলোপতাড়ী ভাবে মারপিট করে নীলা ফোলা জখম করে। তাদের ডাক চিৎকারে পাশ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে আসলে তারা ত্রাসসৃষ্টি করে খুন জখমের হুমকী দিয়ে ঘটনা স্থান ত্যাগ করে। এ বিষয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নাছির উদ্দীন মৃধা জানান-দুই পক্ষের দুটি অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখছেন। এদিকে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান বলেন-তার জমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি বাধা দিয়েছেন। তাদের উপর হামলা হচ্ছিলো স্থানীয় কাউন্সিলর বাধা দেয়ায় তাকে লাঞ্চিত করা হয়। অন্যদিকে ঠিকাদার মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ন্যায় বিচার দাবী করে আসামীদের বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।