রংপুরে এক পুলিশ কর্মকর্তা ছাঁদ বাগান পুলিশ কর্মকর্তার ছাদবাগান অনেকের কাছে হতে পারে অনুপ্রেরণার উৎস। আখ( ইক্ষু)সহ বিভিন্ন ফল-ফুল, শাক-সবজি চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। এ ছাড়া তিনি ছাদে খেজুর গাছ রোপন করেছেন। নগরীর ২৭ নং ওয়ার্ডের আলমনগর খামার পাড়া এলাকায় ১ নং সড়কের ১৮১ নং ৪ তলা বাড়ির ছাদে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারি পুলিশ কমিশনার(এসি) আলতাফ হোসেনের হরেক রকমের গাছ-গাছালি অনেকের দৃষ্টি আর্কষণ করতে সক্ষম হয়েছে। তার বাগানে প্রায় ১০০ প্রজাতির শাক-সবজিসহ ফলদ, ওষুধি গাছের সমারোহে সবুজ হয়ে উঠেছে ছাদ।
তার ছাঁদ বাগানে গিয়ে প্রথমেই দেখ গেল আখ। মাটির বস্তায় তিনি আখ চাষ করেছেন। একটি বস্তায় ৫-৮ টি আখ ফলেছে। তিনি বছরে দুই বার ছাঁদ বাগানে আখ চাষ করেছেন। বাগানের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করছে টবের পানিতে শাপলা,পদ্ম ফুল ও বিলেতি কচুরি পানা। এ ছাড়া ফল হিসেবে তিনি ড্রাগন, মাল্টা, পেয়ারা, আনারস, লেবু, ডালিম ইত্যাদি চাষ করেছেন। সবজির মধ্যে করলা, বেগুন, কাঁচামরিচ, মিষ্টি আলুসহ কয়েক পদ রয়েছে। এ ছাড়া ৭ প্রকারের শাক তার ছাঁদ বাগানে শোভা পাচ্ছে। ওষুধি ও মসল্লা জাতীয় গাছের মধ্যে রয়েছে তেজপাতা, আদা, হলুদ, সজনা, পুদিনা ইত্যাদি। দেশি- বিদেশী ফুলের মিষ্টি গন্ধে ছাঁদ বাগনকে আরো বিমহিত করে তুলেছে। তার বাগানে গেলে সতিক্যারে একটি প্রাকৃতিক পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়। আশ-পাশের অনেকেই তার ছাঁদ বাগান দেখতে আসেন। ছাঁদ বাগানের উৎপাদিত ফল-সবজি পরিবারের প্রয়োজন মিটিয়ে আত্মীয়-স্বজনকেও তিনি দিচ্ছেন।
এসি আলতাফ হোসেন বলেন, শাইখ সিরাজের চ্যালেন আই’র কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান দেখে তিনি ছাঁদ বাগান করতে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। আনুমানিক তিন বছর আগে তিনি এই ছাঁদ বাগানের যাত্রা শুরু করেন। তার মা- স্ত্রী- সন্তানরা তার এই বাগান গড়তে সহয়োগিতা ও উৎসাহ যুগিয়েছেন। বর্তমানে বিদেশি ফুলসহ তার বাগানে সবুজ প্রকৃতির অনেক কিছুই রয়েছে। যে দেখে মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই। এসি আলতাফ হোসেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। একমাত্র ছেলে ডাঃ আবু মোঃ নাহিদ হোসেন আপন এমবিবিএস পাশ করে একটি বেসকারি হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। ছেলের বউ ডাঃ নুরে জান্নাত আকতার, (এমবিবিএস) তিনিও গুড হেলথ্ হসপিটালে কর্মরত আছেন। একমাত্র মেয়ে ডাঃ আফসানা হোসেন অমি তিনিও এমবিবিএস পাশ করে রংপুর প্রাইম মেডিকেল হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। তার স্ত্রী নাজনিন নাজু কলেজের প্রভাষক। ব্যক্তি জীবনের সফল এই মানুষটির ছাঁদ বাগান সত্যিকার অর্থে আরও দশজনের অনুপ্রেররণা হতে পারে।