আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন সড়কের উপর মৃত গাছ পথচারী ও যানবাহন চালকদেরকে মৃত্যুর কবলে রেখে বছরের পর বছর খাড়িয়ে থাকলেও প্রতিকারের জন্য কারো মাথা ব্যথা না থাকায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক স্থানে গাছ পড়ে ক্ষয়ক্ষতি ও অল্পের জন্য প্রাণ রক্ষার ঘটনা ঘটলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক না নড়ায় মানুষ কর্তাব্যক্তিদের প্রতি বিতশ্রদ্ধ হয়ে পড়তে বাধ্য হচ্ছে।
উপজেলার কুল্যার মোড় থেকে দরগাহপুর সড়ক, মানিকখালী ব্রীজ হতে বড়দল বাজার সড়ক, আশাশুনি উপজেলা প্রধান সড়ক ও পুরাতন ফেরিঘাটগামী সড়ক, বুধহাটা টু শোভনালী সড়ক, বিভিন্ন অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাটবাজার ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অসংখ্য গাছগাছালি মারা গেছে। এসব গাছ শুকনো ডাল নিয়ে বছরের পর বছর মৃত্যুর বিপদ সংকেৎ দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মাঝে মধ্যে ছোট খাট বা বড় ডাল ভেঙ্গে দোকানপাট, স্থাপনা, যানবাহন ও পথচারীকে চরম বিপদে ফেলছে। এসব ঘটনার স্বচিত্র প্রতিবেদন অনেকবার বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও সোস্যাল মিডিয়ায় ফলাও করে ছাপানো বা প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু কেন জানিনা কর্তৃপক্ষ ভ্রুক্ষেপ করেন না। অনেক ভুক্তভোগিরা আক্ষেপ করে বলে থাকেন, কর্তা ব্যক্তিদের কাছে কি এলাকার সাধারণ মানুষের জীবনের মূল্য নেই। তাহলে কেন গাছ অপসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়না। কেন প্রতিকারে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়না। কিছুদিন পূর্বে বাধ্য হয়ে বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান জগদীশ চন্দ্র সানা ফকরাবাদ প্রাইমারী স্কুলের সামনে থেকে কয়েকটি গাছ কেটে শিক্ষার্থী ও পথচারীদের প্রাণ রক্ষার কাজ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। মঙ্গলবার (২৩ আগষ্ট) উপজেলা পরিষদ মোড়ে সড়কের উপরে শুকনো গাছের ডাল পড়ে ভ্যান চালক ও পথচারীদের জীবন শেষ করে দেওয়ার উপক্রম হয়েছিল। ভাগ্যক্রমে ডালটি বিদ্যুতের তার ও ডিশ লাইনের তারের উপর পড়ে একটু সরে যাওয়ায় এযাত্রা তাদের প্রাণ রক্ষা পায়।
এলাকাবাসী মাননীয় জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং সর্বোপরি মাননীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে সদয় আকুতি জানিয়েছেন, মানুষের প্রাণ রক্ষায় এগিয়ে আসুন। ব্যবস্থা নিন গাছগুলো কেটে ফেলানোর। তাহলে আবারও সেখানে নতুন করে গাছ লাগানোর ব্যবস্থা করে সবুজ বনানয়নের ব্যবস্থা করা যাবে।