সুনামগঞ্জের জেলা পরিষদ প্রশাসক,জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নুরুল হুদা মুকুট বলেছেন, আগস্ট মাস হচ্ছে শোকের মাস। ১৯৭৫সালের ১৫আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিদেশে থাকায় বেঁচে যান। আর এই হত্যাকান্ডে নেতৃত্বদেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত খন্দকার মোস্তাকসহ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞ নেতারা, যারা সবসময় বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে পরামর্শ দিতেন। আমাদের মাঝেও মোস্তাক চক্র লুকিয়ে আছে, তাদের খুঁজে বের করতে হবে। তিনি বলেন, ওই মাসেই জননেত্রী শেখ হাসিনা কে প্রাণে মারতে জনসভায় গ্রনেড হামলা করে বিএনপি -জামাত জোট। তাদের সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি।স্বজনহারা জননেত্রী শেখ হাসিনার আপনজন বলতে আপনারা এবং এদেশের জনগণ। তিনি সবসময় আপনাদের এবং দেশের মানুষের উন্নয়নের কথা ভাবেন। মাননীয় গোলাপগঞ্জ কে যেভাবে ভালোবাসেন সুনামগঞ্জ কে তেমনি ভালোবাসেন, যার কারণে সুনামগঞ্জে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তিনি দুঃখ করে বলেন সুনামগঞ্জ জেলায় অনেক উন্নয়ন হলেও আমার প্রিয় জন্মস্থান দিরাইয়ে উন্নয়ন নেই। তিনিস্থানীয় সংসদ সদস্য জয়া সেনগুপ্তার অযোগ্যতা কে দায়ী করে বলেন জয়া সেন গুপ্তা ছাতকের এমপি মানিকের কথা ছাড়া কোনো উন্নয়ন করেননি, দিরাই শাল্লায় দুইজন এমপি। একজন জয়া সেন আরেক জন মহিবুর রহমান মানিক। দিরাই শাল্লা বাসীকি দুই জনকে এমপি বানিয়েছেন? মুকুট বলেন, গত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্দেশে আমি জয়া সেন গুপ্তাকে আর্থিক সহায়তা করি এবং তাঁর জন্য কাজ করি।তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্রী আলহাজ¦ আবদুস সামাদ আজাদের প্রশংসা করে বলেন, দিরাই শাল্লা থেকে আলহাজ¦ আবদুস সামাদ আজাদ এমপি হয়েছিলেন, তাঁর হাত ধরে আমার রাজনীতিতে আসা। সুতরাং আবদুস সামাদ আজাদ কে বাদ দিয়ে সুনামগঞ্জের রাজনীতি কল্পনা করা যায়না। তিনি বলেন এলাকার সন্তান হিসেবে জনগণের কাছে আমার দায়বদ্ধতা আছে,আমি আপনাদের সাথে নিয়ে দিরাই শাল্লার উন্নয়ন করতে চাই।মঙ্গলবার বিকেলে দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের মিলনগঞ্জ বাজারে শোক সভায় প্রধানঅতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। কুলঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম শামীম, দিরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী, শাল্লা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান অবনি মোহন দাসসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।