ওজন মাপা, স্কেল দিয়ে উচ্চতা মাপা, আইচার্ট দেখে সহপাঠীদের দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা করেন ক্ষুদে ডাক্তার। চিকিৎসকদের মত গায়ে সাদা অ্যাপ্রোন পরে বিদ্যালয়ের সহপাঠীদের স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী একদল ক্ষুদে ডাক্তার। এমন চিত্র দেখা যায় গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শিশুর মাধ্যমে শিশুদের স্বাস্থ্য-শিক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১১ সাল থেকে ক্ষুদে ডাক্তার কর্মসূচি শুরু করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গত ১৭ আগস্ট এক বিজ্ঞপ্তিতে ২০-২৬ আগস্ট সারাদেশের ক্ষুদে ডাক্তারদের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষার করার নির্দেশনা দেয়। এ উপজেলার ২১৬টি প্রাথমিক সরকারি বিদ্যালয়ের ৩ হাজার জন ক্ষুদে ডাক্তার এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। প্রায় ২৩ হাজার ৩শ’ ৮১ জন শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন ওইসব ক্ষুদে ডাক্তার। উপজেলার বৈরী হরিণমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বর্ষা আকতার বলেন, এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে ভালো লাগছে। আমরা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যতথ্য লিপিবদ্ধ করে রেখেছি। কোন শিশুর কোনো সমস্যা থাকলে দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষককে সেটা অবগত করি। পরে দায়িত্বরত শিক্ষক অভিভাবকদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন। পৌরশহরের পলাশবাড়ী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহেদার রহমান সরকার বলেন, শিশুদের স্বাস্থ্য সচেতনতা করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ কার্যক্রম খুবই ফলপ্রদ।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোসা. নাজমা খাতুন বলেন, শিশুরা যাতে উন্নত জীবনের স্বপ্ন দর্শনে উদ্বুদ্ধ হয়। শিক্ষার্থীরা রোগ-জীবানু সম্পর্কে ধারণা ছাড়াও ব্যক্তিগত পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা হাতে-কলমে শিখতে পারছে। এই কার্যক্রমের পরিধি আরো বাড়ানো উচিত বলে তিনি মনে করেন।