রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানার পোস্টাল একাডেমির সামনে ডাকাতির ঘটনায় সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের মূল হোতাসহ আরও তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে শাহমখদুম থানা পুলিশ। এ সময় গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের কাছ থেকে ডাকাতি হওয়া আরও ৫ লক্ষ ৮৫ হাজার ১২৫ টাকা উদ্ধার হয়। ফলে এখন পর্যন্ত এ মামলায় ৯ আসামিকে গ্রেপ্তারসহ ২২ লক্ষ ৭০ হাজার ৬৫ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকাল ১০ টার দিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সদরদপ্তর কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক।
নতুনভাবে গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, ডাকাতির মূল হোতা রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার মহিষবাথান উত্তরপাড়ার মোকলেছুর রহমানের ছেলে নুর আলম নুরু (২৩), অ্যাম্বুলেন্স চালক পবা থানার বীর গোয়ালিয়ার মকবুল হুসাইনের ছেলে মুহাইমিনুল ইসলাম সবুজ (২৯) এবং রাজশাহী জেলার দূর্গাপুর থানার দাওকান্দি ব্রিজপাড়ার আবদুর রশীদের ছেলে কামরুজ্জামান লিটন (২৬)।
এর আগে গত ২১ আগস্ট ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে নগরীর শাহমখদুম থানাধীন পোস্টাল একাডেমির সামনে পান ব্যবাসায়ীর কাছ থেকে অস্ত্রহাতে জিম্মি করে ৩৪ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা ডাকাতি করা হয়েছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিকের সার্বিক দিকনির্দেশনায় ঘটনার ৬ ঘণ্টার মধ্যে সংঘবদ্ধ ৬ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে শাহ মখদুম থানা পুলিশ। এ সময় আসামিদের কাছ থেকে ডাকাতির সময় লুট করা টাকার মধ্যে ১৬ লাখ ৮৪ হাজার ৯৪০ টাকা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধারসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অ্যাম্বুলেন্সটিও জব্দ করা হয়। ওইদিন গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রাজশাহী মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার পূর্ব মোল্লাপাড়া এলাকার রাজ্জাকের ছেলে আশিক ইসলাম (২৪), আজাদ আলীর ছেলে হৃদয় (২৪), রাজপাড়া থানাধীন আলীগঞ্জ মধ্যপাড়ার আসলাম আলীর ছেলে আবদুর রহমান (২১), আসলামের ছেলে আবদুর রহিম (২০), ডিঙ্গাডোবা ঘোষ মাহালের লোকমানের ছেলে রিকো ইসলাম (২১) ও চন্ডীপুর সুফিয়ানের মোড়ের মৃত এবাদুলের ছেলে ইয়ামিন (২০)। পরে পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে ডাকাতি হওয়া অবশিষ্ট টাকা উদ্ধার ও মুল হোতাসহ পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রাখে শাহমখদুম থানা পুলিশ।
এরই ধারাবাহিকতায় আরএমপি’র সাইবার ক্রাইম ইউনিট তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিদের অবস্থান নির্ণয় করে শাহমখদুম থানা পুলিশের একটি টিম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী ও দূর্গাপুর থানা এবং রাজশাহী মহানগরীর কর্ণহার থানা এলাকা থেকে আরও তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় আসামিদের কাছ থেকে ডাকাতি হওয়া আরও ৫ লক্ষ ৮৫ হাজার ১২৫ টাকা উদ্ধার হয়। বর্তমানে অবশিষ্ট টাকা উদ্ধার ও সহযোগী আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। আর গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহন প্রক্রিয়াধীন বলেও ব্রিফিংকালে জানিয়েছেন আরএমপি’র কমিশনার।