লালমনিরহাটে কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি রিতা আক্তারকে কুপ্রস্তাব ও মারপিট করে আহত করায় অভিযুক্ত কাশিপুর দ্বি-মুখী উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস সহকারী সন্ত্রাসী আবুল কালাম আজাদকে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জেলার বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত সিএইসিপিরা।
শনিবার(২৭ আগস্ট) বিকেলে জেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্র মিশন মোড় চত্ত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলার সকল কমিউনিটি ক্লিনিক এর সিএইচসিপিবৃন্দের আয়োজনে এ মানববন্ধনে জেলার অর্ধশত সিএইচসিপি সদস্য,নির্যাতনের শিকার সিএইচসিপি সদস্য ও তার পরিবার এবং স্থানীয় সচেনমহল সহ প্রায় দুই শতাধিক বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সিএইচসিপির নেতৃবৃন্দ ও নির্যাতনের শিকার সিএইচসিপি সদস্যের স্বামী জানান, লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের একটি সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিকের এক নারী স্বাস্থ্যকর্মীকে উত্ত্যক্ত ও মারধর করার অভিযোগে স্থানীয় আবুল কালাম নামের এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গত ২২ আগস্ট (সোমবার)রাতে সদর থানায় মামলাটি করা হয়।কিন্তু রহস্যজনক কারণে এখন পর্যন্ত আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
উল্লেখ্য, সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের কাশিপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) হিসেবে চাকরি করেন রিতা আক্তার। চাকুরির সুবাদে প্রতিদিন কাশিপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে তাকে যেতে হয়। কর্মস্থলে যাওয়া-আসার এবং তার কর্মস্থলে গিয়েও ইপটিজিং করতেন আবুল কালাম আজাদ। বিষয়টি নিয়ে শালিস বৈঠক করে তাকে আচরণ সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি তার এমন কর্মকা- ঠিক না করে বরং ওই নারীর ওপরে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।
পরে শনিবার রিতা আক্তার কর্মস্থলে গেলে একটি লোহার রড নিয়ে তার অফিসে গিয়ে পুনরায় কু-প্রস্তাব দেন ওই যুবলীগ নেতা। সেটি প্রত্যক্ষান করায় জোর জরদস্তি করে শাড়ি টেনে-হেচরে শ্লীলতাহানী করেন তিনি। এতে রাজি না হওয়ায় একপর্যায়ে মারধর শুরু করেন। পরে রিতা আক্তার চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই রিতা আক্তার বাদি হয়ে যুবলীগ নেতা আবুল কালামের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিয়ে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অভিযুক্ত আবুল কালম আজাদ। তিনি এখন অভিযোগ তুলে নিতে বাদির পরিবারকে হুমকী দিচ্ছেন বলেও জানান রিতা আক্তার।