টানা ১৯ দিন আন্দোলনের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরী ১৭০ টাকা নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে খুশি মনে কাজে যোগ দিয়েছেন চা শ্রমিকরা। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরপরই আজ রবিবার শ্রীমঙ্গলের অধিকাংশ চা বাগানে কাজে যোগ দেন শ্রমিকরা। আজ রোববার চা বাগানগুলোতে সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকার পরও শ্রমিকরা আজ সকালেই কাজে যোগ দেন। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় কয়েকটি বাগানে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেননি। তারা আগামীকাল সোমবার থেকে পুরোপুরি কাজে যোগ দিবেন বলে জানা গেছে।
শনিবার বিকেল ৪ টায় গণভবনে দেশের বৃহৎ ১৩টি চা বাগানের মালিকদের সাথে বৈঠক করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে ১৭০ টাকা দৈনিক মজুরীর বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব।
আজ রোববার সকালে শ্রীমঙ্গলের ভাড়াউড়া চা বাগানে গিয়ে দেখা যায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে মনে আনন্দ নিয়ে উল্লাস করে বাগানে কাজ করছেন চা শ্রমিকরা। পরবর্তীতে দুপুর দেড়টায় চা শ্রমিকদের উত্তোলিত চা পাতা ওজন করে ট্রাক্টরে করে কারখানায় নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
শ্রীমঙ্গলের বালিশিরা টি ভ্যালীর সভাপতি ও বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা জানান, রোববার সকাল থেকে কাজ শুরু হয়েছে। ভাড়াউড়া, খাইছড়া, ভুরভুরিয়া, মাজদিহি, জেরিন, মির্জাপুর চা বাগানগুলোতে পুরোদমে কাজ চলছে। তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে রোববার সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকা সত্বেও কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। রোববার ছুটি থাকায় কয়েকটি চা বাগানে কাজ শুরু হয়নি। তবে আগামীকাল সোমবার থেকে বাগানগুলোতে পুরোদমে কাজ হবে বলে জানিয়েছেন। বিজয় হাজরা আরও বলেন, আমাদের চা শ্রমিকদের দাবি ছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিকদের মজুরী ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আমরা এ সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে খুশি মনে কাজে যোগ দিয়েছি।
ভাড়াউড়া চা বাগানের শ্রমিক শ্রীকান্ত বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আমরা তা মেনে নিয়েছি। আমরা এখন খুশি মনে বাগানের জন্য কাজ করব।