লক্ষ্মীপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) শতকোটি টাকার জমি দখল করে রেখেছে ভূমিদস্যুরা। ওই জমিতে নির্মিত হচ্ছে ভবন ও দোকানপাট। অভিযোগ উঠেছে,পাউবো উচ্ছেদ অভিযানে না গিয়ে টাকার বিনিময়ে দখলদারদের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় উচ্ছেদ কার্যক্রম সম্ভব হয়ে ওঠেনি এক যুগেও। এর ফলে সড়কের পাশের সাধারণ মানুষের চলাচলের পথ বন্ধ করে গড়ে ওঠে দোকানপাট সেসঙ্গে খালের ওপর অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠার কারণে বন্ধ হয়ে পড়ছে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাও।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন,লোক দেখানো অভিযান নয়, সত্যিকার অর্থে দখল করা সম্পত্তি উচ্ছেদ করে সড়কের পাশের জনগণের চলাচলের পরিবেশ ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা সময়ের দাবী। তাদের অভিযোগ,রামগতি- লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের দু'পাশ ও চরলরেঞ্চ বাজার সড়কের পাশে পাউবোর জমি দখল করে সাধারণ মানুষের যাতায়াতে বাধা সৃষ্টি করে সড়কে বালু ফেলে দোকানের সামনে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে 'মুক্তিযোদ্ধা সমবায় মার্কেট' সাইনবোর্ড। দখল করা হয়েছে পাউবোর জমিও।
মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম জানান, জমিটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের। কিছু দুষ্কৃতকারী জায়গাগুলো দখল করতে মুক্তিযোদ্ধা সমবায় মার্কেট' সাইনবোর্ড টানিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা কারও জমি অবৈধভাবে দখল করেন না। দখলকারী সবাই মুক্তিযোদ্ধা নয়,দু-একজন থাকতে পারে।
দ্রুত অবৈধ দখল উচ্ছেদ করার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন তিনি। স্থানীয়রা জানান, জমি ও দোকান নির্মাণে মুক্তিযোদ্ধা সমবায় মার্কেটা নামে যে সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে, তাতে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয়েছে। এ ছাড়া সড়কের ওপর বালু রাখায় গাড়ি ও সাধারণ মানুষের চলাচলে অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি খাল দখল করে দোকান তোলায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার নুরুল আমিন বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সমবায় মার্কেট সাইনবোর্ড ব্যবহার করে সরকারি জায়গা দখল প্রক্রিয়াটি অন্যায়। দখলকারীরা মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না। তিনি আরও জানান, চরলরেঞ্চ বাজারে অবৈধভাবে দোকানপাট নির্মাণের ফলে খাল ও রাস্তাঘাটের সমস্যা হচ্ছে।বাজারের সৌন্দর্য রক্ষার্থে দ্রুত অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ বলছেন, অবৈধ দখলের বিষয়টি তাদের জানা আছে। এ ছাড়া আরও দখল হয়েছে চরলরেঞ্চ, তোরাবগঞ্জ বাজার রামগতি, রহমতখালী ও মজুচৌধুরীর হাট এলাকার সরকারি জমি। তবে এ ব্যাপারে পাউবোর পক্ষ থেকে দখলদারদের তালিকা করা হয়েছে। কিছুদিন পর নোটিশ দেওয়াসহ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।