মাগুরা মহম্মদপুরের জোকা গ্রামের বহুল আলোচিত পলিটেকনিক ছাত্র মেহেদী হাসান পাভেল হত্যা মামলায় প্রতিবেশী মুক্তিযোদ্ধা সেলিম আজাদের ফাসিঁ এবং তার স্ত্রী ও শ্বশুরসহ ৬ জনের যাবৎজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ রায় দিয়েছেন মাগুরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা ইয়াসমিন।
মামলার বিবারণে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৬ আগস্ট রাতে প্রেম ঘঠিত বিরোধে দন্ডপ্রাপ্তরা মামলার বাদী মুক্তিযোদ্ধা রিজাউর রহমান রিজুর পুত্র মেহেদী হাসান পাভেল কে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় প্রতিবেশী মুক্তিযোদ্ধা সেলিম আজাদ, তার স্ত্রী রুমা পারভিন, নাবালিকা কন্যা লিমা খাতুন, শ্বশুর আবির হোসেন, শাশুড়ী মোমেনা খাতুন, শ্যালক সাইদুর রহমান, জাকির হোসেন ও খালিদ হোসেনের বিরুদ্ধে মহম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা রুজু হয়। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে চার্জসিট জমা দিলে সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে বুধবার দুপুরে এ রায় ঘোষনা করেন বিজ্ঞ বিচারক। রায় ঘোষনার সময় সকল আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং তারা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
এপিপি আবু বক্কার জানান, পাভেল হত্যার রায়ে মুক্তিযোদ্ধা সেলিম আজাদের ফাসিঁ এবং তার স্ত্রী ও শ্বশুরসহ পরিবারের ৬ জনের যাবৎজ্জীনন কারাদন্ডাদেশ এবং প্রথ্যেকের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আসামি লিমা খাতুন নাবালিকা থাকায় আগামীকাল শিশু ট্রাইব্রুনালে তার রায় ঘোষিত হবে।
আসামী পক্ষের আইনজীবী রোকনুজ্জামান খান রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানান। তিনি জানান, ফাসিঁর দন্ডাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সেলিম আজাদের নাবালিকা কন্যা লিমা খাতুনের সাথে নিহত পাভেলের প্রেমের সম্পর্ক কে কেন্দ্র করে আসামীদের ফাসানোর জন্য নিজেরা হত্যা কান্ড ঘঁটালেও রায় সঠিক হয়নি। উচ্চ আদালতে গেলে তারা ন্যায় বিচার পাবেন।