ভাসমান হাসপাতাল ‘জীবন তরী’ এখন ভান্ডারিয়া পোনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় অবস্থান করছে। আজ বৃহস্পতিার থেকে আগামী তিন মাস ভান্ডারিয়াসহ কাছের জেলা উপজেলার বাসিন্দারা এখান থেকে সেবাগ্রহণ করতে পারবে।
হাসপাতালের প্রশাসক মো: আলাউদ্দিন, মো. রুহুল আমিন জানান, ১০ শয্যার বেডের হাসপাতালটিতে চারজন চিকিৎসক নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দিবেন।
এ হাসপাতালে আধুনিক অপারেশন থিয়েটার ও বিশেষজ্ঞ সার্জন রয়েছে। স্বল্পমূল্যে চক্ষু রোগের চিকিৎসা ও ছানি অপারেশন, রোগীর চাহিদা অনুযায়ী লেন্স সংযোজন ও ফ্যাকো সার্জারির ব্যবস্থা, নাক-কান-গলা, জন্মগত মুগুর পা, বাঁকা পা, ঠোঁটকাটা ও তালুকাটা রোগীদের চিকিৎসা ও অপারেশন, অর্থপেডিক সমস্যাজনিত শারীরিক ব্যথা ও মাজা ব্যথাসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দেয়া হবে। এ ছাড়া বিকালঙ্গ ও পঙ্গু রোগীর সহায়ক সামগ্রী দেয়া হবে নদীতে ভাসমান এই হাসপাতাল থেকে। ঠোঁটকাটা ও তালুকাটা রোগীদের প্লাস্টিক সার্জারি বিনা মূল্যে করা হবে বলে জানান।
ভাসমান হাসপাতালটির প্রশাসক মো: রুহুল আমিন আরো জানান, ভান্ডারিয়ায় অবস্থানকালে প্রতিবন্ধিতা রোগ প্রতিরোধে স্থানীয় শিক্ষক, ইমাম, সরকারি বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মী ও পল্লি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
চিকিৎসা খরচ ৫০ টাকার টিকেট কেটে চিকিৎসা নেয়া যাবে এ হাসপাতাল থেকে। তবে অপারেশনের আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য টেস্টের আলাদা খরচ রোগীকে বহন করতে হবে। অপারেশনের পর রোগীরা ভাসমান হাসপাতালে থাকবেন। তাদের খাবারের ব্যবস্থা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করবে বলে জানা যায়।