গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিসিআইসি অনুমোদিত ১৬টি রাসায়নিক সারের ডিলারের দোকানগুলো এখন উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের নজরদারিতে। কৃষকরা সার পাচ্ছে কিনা এবং ডিলাররা খুচরা বিক্রেতার নিকট বেশি দামে সার বিক্রি করছে কিনা তা প্রতিদিন নজরদারি করছে উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল কবির, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, এসএপিপিও সাদেক হোসেনসহ ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাগণ। পাশাপাশি প্রতিটি ডিলারের দোকানে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে সার বিক্রি নিশ্চিত করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নের ১৬টি রাসায়নিক সারের ডিলারের দোকানে বুধবার সকাল পয়ন্ত ইউরিয়া মজুদ রয়েছে ৭০.৫ মেট্রিক টন। এ ছাড়া টিএসপি ৫৪.৩, এমওপি ১.৩ এবং ডিএফপি ২২.৪৫ মেট্রিকটন মজুদ রয়েছে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর প্রতিটি ডিলার ৫০ মেট্রিক টন করে ইউরিয়া সারের বরাদ্দ পাবে।
পৌরসভার ডিলার আবদুর রশিদ রেজা সরকার ডাবলু জানান, উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সারের দোকান নজরদারিতে রেখেছে। গত এক সপ্তাহের চেয়ে সারের চাহিদা অনেকটা কমে গেছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী ১ সেপ্টেম্বরের পর থেকে কৃষকের চাহিদা আর থাকবে না।
উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল কবির জানান, উপজেলায় সারের কোন সংকট নেই। কৃষকরা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি করে সার ক্রয় করে বাড়িতে মজুত করে রাখার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন উপজেলায় প্রতিটি সারের দোকানে কৃষি কর্মকর্তাগণ নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। রেজিষ্টারে কৃষকদের নাম লিখে সার বিতরণ করা হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতাদের নিকট সার বিক্রি সম্পন্নরুপে বন্ধ রয়েছে।