ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লের (এফএফপি) নিয়ম না মানায় ইউরোপের বিভিন্ন লিগের ৮টি ক্লাবকে বিশাল অঙ্কের অর্থ জরিমানা করেছে ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। সব মিলিয়ে জরিমানার পরিমাণটা ১৭২ মিলিয়ন ইউরো, বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ২৪৫ কোটি টাকা। উয়েফার জরিমানার খড়গটা সবচেয়ে বেশি পড়েছে মেসি-নেইমারদের প্যারিস সেন্ট জার্মেইনের (পিএসজি)ওপর। ১৭২ মিলিয়নের মধ্যে পিএসজির জরিমানার পরিমানই ৬৫ মিলিয়ন ইউরো। পিএসজি বাদে জরিমানার কবলে পড়া লিগ ওয়ানের অন্য দুটি ক্লাব হচ্ছে এএস মোনাকো আর অলিম্পিক মার্শেই। এ ছাড়া অন্যান্য দলগুলো হচ্ছে ইতালির এসি মিলান, জুভেন্টাস, ইন্টার মিলান, এএস রোমা এবং তুরস্কের বেসিকতাস। উয়েফা ক্লাবগুলোকে জরিমানা করেছে এফএফপির ‘ব্রেক ইভেন’ নীতি ভাঙ্গার কারণে। একটি ক্লাব যে পরিমাণ আয় করবে, ব্যয়ের পরিমাণ তার চেয়ে বেশি হতে পারবে না, এমনই বলা রয়েছে এই নীতিতে।। প্রতি তিন বছরের মধ্যকার সময়ে ক্লাবগুলোর আয়-ব্যয়ের হিসেবের সমতা বজায় থাকতে হবে। ক্লাবগুলোকে বড় অঙ্কের জরিমানা করা হলেও আপাতত সকল অর্থ একবারে দিতে হবে না। কমপক্ষে জরিমানার ১৫ শতাংশ বা প্রায় ২৬ মিলিয়ন ইউরো পরিশোধ করতে হবে ক্লাবগুলোকে। এখানেও পিএসজির ওপরেই খড়গহস্ত হয়েছে উয়েফা। ২৬ মিলিয়নের মধ্যে শুধু পিএসজিরই দিতে হবে ১০ মিলিয়ন ইউরো। ক্লাবগুলোকে জরিমানা পরিশোধ করার ক্ষেত্রে অবশ্য কিছুটা শিথিলতা দেখিয়েছে উয়েফা। নগদ অর্থ না দিয়ে উয়েফার বিভিন্ন টুর্নামেন্ট থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ থেকেও পরিশোধ করা যাবে জরিমানার অর্থ। ইউরোপের আরও দুই জায়ান্ট বার্সেলোনা আর ম্যানচেস্টার সিটির বিরুদ্ধেও এফএফপির নীতি ভাঙ্গার অভিযোগ উঠেছিল, তবে আপাতত তাদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো প্রমাণ পায়নি উয়েফা। তবে তারাও এখন ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে এমন না। বার্সা-সিটিসহ আরও ১৯টি ক্লাবের আর্থিক লেনদেন এবং পরিচালনার ওপর নজর রাখছে উয়েফা।