তালা সার্জিক্যাল ক্লিনিক এ- ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিক্ষা রিপোর্টে ভুল ছিলো স্বীকার করলেও কর্তৃপক্ষ নেয়নি কোনো ব্যবস্থা। এতে জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী অর্থদন্ড দিয়ে আপস করে নেয়া মালিক ও প্রতিষ্ঠানকে আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। গত ২৯ আগস্ট গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যস্থতায় ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েএ আপস হয়। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছে তা হলে কি এ রকম ভুল করে টাকার বিনিময় এ সমস্থ প্রতিষ্ঠান পার পেয়ে যাবে। উল্লেখ্য, পাইকগাছার কপিলমুনি ইউনিয়নের সিলেমানপুর গ্রামে মৃত্যু ফরিদ সানার মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী রেশমা বেগম (১৫), গত ১৬ আগস্ট অসুস্থ হয়ে পড়ে। ছাত্রীর মা আকলিমা জানান, মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তালা সার্জিক্যাল ক্লিনিক এ- ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরিক্ষা করা হয়। সেখানে ধরাপড়ে এপেন্ডিসাইটিস। সে অনুযায়ী ওই দিনই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। তিনদিন হাসপাতালে থাকার পর বাবলু নামে একজনের মাধ্যমে পাইকগাছার রাসেল ক্লিনিক এ- ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করি। ১৯ আগস্ট রাসেল ক্লিনিকের চিকিৎসক বরকত আলী আমার মেয়েকে অপারেশন করে। পরে চিকিৎসক আমাকে অপারেশন ঘরে ডেকে নিয়ে বলে আপনার মেয়ের এপেন্ডিসাইটিস না ওখানে টিউমার হয়েছে। আমরা এ টিউমার অপারেশন করতে পরবো না। তখন মেয়ের কাটা জায়গা সেলাই করে আমাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বলে। আমি বারবার চিকিৎসককে অপারেশনের কথা বললেও তিনি সেটি করননি। উপায় না পেয়ে ধার দেনা করে খুলনা একটি ক্লিনিকি নিয়ে যাই। তারা চিকিৎসা পত্র দিয়ে ৩ মাস পরে যেতে বলে। বর্তমানে মেয়েটি খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আর তালা সার্জিক্যাল ক্লিনিক এ- ডায়াগনস্টিক সেন্টরের মালিক বিধান চন্দ্র রায় মোটা অংকের টাকার মিশন নিয়ে বিভিন্ন মহলে দোঁড়ঝাপ করছেন।