খুলনার পাইকগাছায় ভূমি অফিস কানুনগোর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে পাইকগাছা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। বলা হয় উপজেলার মঠবাটী গ্রামের মৃত চিত্তরঞ্জন রায়ের পুত্র অনুপ রায় ঐ গ্রামের ঘর জামাই ধ্রুব জ্যোতি মিস্ত্রি উপজেলা রাড়-লী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সাবেক ভূমি সরকারী সিরাজুল ইসলাম এবং উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো মোজাম্মেল হোসেন পরস্পর যোগাযোগে, ঘুষ নিয়ে কাজ না করে আমাদের বসতবাড়ি ও চাষজমি দখলসহ ক্ষতিগ্রস্ত করার হীনকর্মে লিপ্ত হয়েছে। উপজেলার মঠবাটী মৌজা এসএ ২৮৫, ২৮৬, ২৫৭নং খতিয়ানের রেকর্ডীয় মালিক থাকেন সুধীর কুমার চক্রবর্তী। ওই সুধীর কুমার চক্রবর্তী'র নিকট থেকে ভ্রাতা কৃষ্ণপদ চক্রবর্তী ১৯৬৯ সালে কোবলা দলিল মূলে ০.৯৭ একর জমি খরিদ করে ভোগ দখলকার থাকিয়া উপজেলা রেভিনিউ অফিস হইতে মিস ১৩২৭/৮৫-৮৬নং নামপত্তন কেসে ২০/০৭/১৯৮৬ তারিখের আদেশে রেকর্ড সংশোধন করিয়া শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগদখলে ছিলেন। ওই জমি জমা ভুলক্রমে শত্রু সম্পত্তি হিসাবে চিহ্নিত করিয়া ২১২/৭৬-৭৭নং লীজ কেসের মাধ্যমে জনৈক মজিবর রহমান ইজারা গ্রহণ করেন। অতঃপর বিজ্ঞ মহাকুমা প্রশাসকের দ্বারস্থ হইলে কাগজপত্র দৃষ্টান্তে তিনি ২৫.০৫.১৯৭৮ তারিখে ৭৭৮/২নং স্মারকে ইজারা বাতিলের নির্দেশ প্রদান করেন এবং ২৫৭নং খতিয়ানের জমি বাস্ত শ্রেণীভুক্ত হাওয়ায় তাহা আর কখনও প্রদান করা হয়নি। সেই থেকে ওই সম্পত্তি কৃষ্ণপদ চক্রবর্তীর ওয়ারেশগণ বংশানুক্রমে ভোগদখলে সন সন সরকারের কর খাজনা পরিষদ পূর্ব বাংলাদেশ জরিপে রেকর্ড করতঃ অদ্যাবধি শান্তিপূর্ণ ভোগদখলে আছেন। এবং এসএ ২২৯নং খতিয়ানে ১.১৬ একর জমি যাহা বাকি করের দায়ে নিলাম হইলে অপু রাণী বিশ্বাসগং নিলাম খরিদ করিয়ার রেকর্ড সংশোধন পূর্বক সরকারের করাকর প্রদানের শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলে আছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত শত্রু সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের গেজেটে ‘ক’ তালিকাভুক্ত সম্পত্তি হিসেবে ওই জমি নতুন করে লিস্ট প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হইলে রাড়-লী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম আমাদের অনুকূলে ইজারা দেওয়ার নামে টাকা নিয়ে আমাদের অনুকূলে না দিয়া আমাদের অজ্ঞাতে পরস্পর লোভী ভূমি দস্যু ধ্রুব জ্যোতি মিস্ত্রির নিকট হইতে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তার স্ত্রী কাকলী রায়, শ্যালক অনুপ কুমার রায় ও তাপস ব্যানার্জীর নামে দখল দেখাইয়া তাদের অনুকূলে ডিসিআর প্রদানের সুপারিশ করেন। অতঃপর তাহারা বাংলা ১৪২৭ সালের ডিসিআর গ্রহণ করিয়া ১৪২৮ সালের নবায়ন পূর্বক সম্পত্তির ভোগ দখলীকার মালিক আমাদের নিকট সম্পত্তি দাবি করিলে আমরা ডিসিআর সম্পর্কে জ্ঞাত হইয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ওই ডিসিআর বাতিলপূর্বক আমাদের অনুকূলে ডিসিআর প্রদানের আবেদন করি। অতঃপর বিষয়টি লইয়া উভয় পক্ষের শুনানী অন্তে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো মোজাম্মেল হোসেনের উপর সরেজমিনে দখল বিষয়ে তদন্তে নির্দেশ দেন। তিনি আমাদের কাছে টাকা দাবি করলে আমরা তাকে কিছু টাকা প্রদান করি। কিন্তু দুঃখের বিষয় কানুনগো সরেজমিনে তদন্তে যাবেন বলিয়া বারবার ওয়াদা করিয়া তিনি সরজমিনে তদন্তে না গিয়া প্রতিপক্ষের নিকট হইতে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দীর্ঘ ৮ মাস পর মনগড়া প্রতিবেদন দাখিল করিয়াছেন মর্মে জানতে পারি। উল্লিখিত ভিপি ২১২/৭৬-৭৭ নং কেসটি ইজারার ক্ষেত্রে বিধিমালা লঙ্ঘিত হয়েছে। ফলে তারা ওয়ারেশগণ অপুরণীয় আর্থিক ও মানসিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানান।