বরগুনার পাথরঘাটায় বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম মনি ও তার ভাই সাইফুল ইসলাম জামালসহ বিএনপি দলীয় ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৩শ জনকে আসামি ৫ সেপ্টেম্বর সোমবার একটি মামলা দায়ের করেছেন পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও কাকচিড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন পল্টু। পল্টুর দায়ের করা মামলায় মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার হলেন, বরগুনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফাইজুল মালেক ওরফে সজিব (৩৫), পাথরঘাটা পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব খাইরুল ইসলাম শরীফ(২৮), রায়হানপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তসলিম হোসেন ওরফে নয়ন (২২), ছাত্রদলের সদস্য মো. শাওন (১৭) ও মো. হাসিব (১৬) ও মোঃ খায়রুল (৪০), বামনা উপজেলার মোঃ সালাউদ্দিন।
এছাড়াও ওই মামলায় আরো অজ্ঞাত ৩শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আলাউদ্দিন পল্টু বলেন, ৪ সেপ্টেম্বর রোববার সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম মনি ঢাকা থেকে এলাকায় আসার পথে পাথরঘাটা সিএন্ডবি নামক স্থানে তার লোকজন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীর ওপরে হামলা চালায় এবং আমাদের গাড়ী বহরের অনেক গাড়ী ভাংচুর করে।
এঘটনায় ৫ সেপ্টেম্বর পাথরঘাটা থানায় মামলা করা হয়েছে।
জানতে চাইলে সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম মনির ভাই সাইফুল ইসলাম জামাল বলেন, তেল গ্যাস ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা অনুযায়ী ৫ সেপ্টেম্বর সোমবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দেয় পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপি।
সমাবেশে যোগদান করার লক্ষ্যে ৪ সেপ্টেম্বর রোববার নুরুল ইসলাম মনি ঢাকা থেকে পাথরঘটার নাচনাপাড়ায় নিজ বাড়িতে আসার পথে রায়হানপুর ইউনিয়নের সিএন্ডবি নামক স্থানে আসা মাত্রই মনিকে এগিয়ে আনতে যাওয়া গাড়ি বহরে ও মনি সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন এর লোকজন।
তিনি বলেন, হামলায় আমাদের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হওয়াসহ দুই শতাধিক মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হলেও উল্টো আমাদের নামে মামলা করা হচ্ছে।
জামাল বলেন রবিবারের হামলায় এখনো অনেক নেতা কর্মী ভয়ে ঘরে ফিরেতে পারছেনা।
পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পাথরঘাটায় বেআইনী ভাবে সমাবেশ, হামলা, মোটরসাইকেল ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের
ঘটনায় কাকচিড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিন পল্টু বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন।