কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার দফাদার পেট্রোল পাম্পে বিস্ফোরনের ঘটনায় বিদ্যুৎ হোসেন (২৫) নামে আরও একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে বিস্ফোরনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচজনে। মঙ্গলবার রাত ১২টা ৫ মিনিটে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। গত ১৩ আগস্ট ভোর সাড়ে ৪টায় সেখানে ভর্তি করা হয় তাকে। তার শরীরের ১৭ শতাংশ অংশ পুড়ে গিয়েছিল। সে ভেড়ামারা উপজেলার পরানখালী গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান জানিয়েছেন, দফাদার পেট্রোল পাম্প বিস্ফোরনের ঘটনায় আরও একজন মারা গেছেন। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচজনে।
গত ১২ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভেড়ামারা উপজেলার মহিষাডোরা এলাকায় দফাদার ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই দৌলতপুর উপজেলার দিঘলকান্দি গ্রামের শাহাজুদ্দীনের ছেলে শাহাজুল (৩৫) ও একই এলাকার তৌহিদুল ইসলামের ছেলে বিজয় (১৬) নিহত হয়। পরদিন ১৩ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. রাজিব উদ্দিন (২৫) ও ১৮ আগস্ট ভোরে রিমন (১৪) নামে একজন একই হাসপাতালে মারা যান। সর্ব শেষ শরীরের ১৭ শতাংশ পুড়ে যাওয়া শরীর নিয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিলেন বিদ্যুৎ হোসেন। সেও গত মঙ্গলবার রাত ১২টা ৫ মিনিটে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। দফাদার ফিলিং ষ্টেশন টি বিস্ফোরনের পর থেকে এখনো বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য পাম্পের মালিক জুয়েল হাসান সহ কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।