সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ হতে না হতেই রাস্তার ওপর বাঁশ ও সুপারি গাছ দিয়ে তৈরি সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের লামছরি গ্রামের বাসিন্দাদের।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে স্থানীয়রা জানান, আগস্ট মাসের প্রথমার্ধে পূর্নিমার জোয়ার আর ফুসে ওঠা সাগরের পানির স্রোতে লামছরি গ্রামের কার্পেটিং সড়কের একাংশ বিলীন হওয়ায় এলাকাবাসী সড়কের ওপর সাঁকো বানিয়ে চলাচল করছেন। বর্তমানে পানি না থাকায় দেখা গেছে, পানির স্রোতে সড়কের পিচ, পাথর, ইটের খোয়া ও বালু ভেসে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বেল্লাল হোসেন জানান, চরবাড়িয়া ইউনিয়নের তালতলী বাজার থেকে গনি মেম্বারেরহাট পর্যন্ত এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। গত জানুয়ারি মাসে সড়কের সাড়ে তিন কিলোমিটার অংশে কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হয়। এখনও কাজ শেষ হয়নি। তিনি বলেন, এ সড়কের এক পাশে কীর্তনখোলা ও অপর পাশে আড়িয়াল খাঁ নদী। গত মাসের জোয়ারের তীব্র স্রােতে রাস্তার তিনটি স্থানের পিচ, পাথর, খোয়া ও বালু ভেসে গেছে। রাস্তার ওই তিনস্থানের প্রায় ২০/২৫ ফুট অংশ বিলীন হওয়ায় গ্রামবাসীদের চরম দুর্ভোগের মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে।
পারভেজ সরদার নামের আরের বাসিন্দা বলেন, পানির স্রোতে রাস্তার একাংশ বিলীন হওয়ায় গনি মেম্বরের হাট সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা বাঁশ ও সুপারি গাছ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে চলাচল করেছেন।
সদর উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ মাইনুল মাহমুদ বলেন, তালতলী বাজার থেকে গণি মেম্বারের বাজার পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কের সংস্কারের অভাবে কয়েক বছর আগে যানবাহন চলাচলে সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পরেছিল। প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কারের জন্য ‘এসএইচ এন্টারপ্রাইজ’ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কার্পেটিংয়ের কাজ করছে। কাজ এখনও শেষ হয়নি। এরইমধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগে সড়কের তিনটি স্থান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।