আমতলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁনকে কুপিয়ে গুরুতর জখমের ঘটনার জড়িতদের বিচার ও মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে আওয়ামী লীগ একাংশ ও ছাত্রলীগের একাংশের পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এ কর্মসুচীতে সন্ত্রাসীদের বিচার দাবীকে কয়েক হাজার নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করেছেন।পুলিশ ও ডিবি পুলিশের সতর্ক অবস্থানের কারণে কোন অপ্রতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপুর্ণভাবে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ হয়েছে।
সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনার জড়িত আসামীদের গ্রেফতার দাবীকে আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশ, যুবলীগ,ছাত্রলীগের একাংশ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ অঙ্গসংগঠনের কয়েক হাজার নারী পুরুষ নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। বিক্ষোভ মিছিলটি বাঁধঘাট চৌরাস্তা থেকে শুরু করে আমতলী থানার দক্ষিণ প্রান্তে আসলে পুলিশ ও ডিবি পুলিশ আটকে দেয়। পরে তারা পুরনায় বিক্ষোভ করে আমতলী চৌরাস্তায় এসে সমাবেশ করে। বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম শাহজাহান কবিরের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নাজমুল আহসান নান্নু, সাবেক পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাড, একেএম বাহাদুর শাহ, দপ্তর সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আনোয়ার হোসেন ফকির, আলহাজ¦ গোলাম সরোয়ার ফোরকান, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জিএম ওসমানী হাসান, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর জিএম মুছা, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ দেওয়ান জাহিদ ও ছাত্রলীগ নেতা মোঃ লিংকন প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা মোয়াজ্জেম হোসেনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনার সাঘে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবী জানান। অপর দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান ও তার ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মজিবুর রহমানকে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতির দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। কিন্তু পুলিশের বাঁধার কারণে আলহেলাল মোড়ে তাদের বিক্ষোভ আটকে দেয়। ওই স্থানে তারা সমাবেশ করেছে। উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ মাহবুবুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মোঃ উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোঃ মাহবুব প্যাদা, কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম জুয়েল ও পৌর যুবলীগ সাধারণ তাজুল ইসলাম তিঠু প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মজিবুর রহমানকে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যহতি দেয়ার দাবী জানান।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ সমাবেশ শান্তিপুর্ণভাবে শেষ হয়েছে। পুলিশের সতর্ক অবস্থানের কারণে কোন অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেনি। শহরে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।