মুলাদীতে বিয়ের বিয়ের প্রলোভনে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার মুলাদী সদর ইউনিয়নের চরলক্ষ্মীপুর গ্রামের জলিল বেপারীর ছেলে সোলায়মান বাটামারা ইউনিয়নের তয়কা গ্রামের এক তরুণীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করেছেন বলে দাবি ভুক্তভোগীর। গত বৃহস্পতিবার ওই তরুণী বিয়ের দাবিতে সোলায়মান বাড়িতে অবস্থান নেন এবং বিয়ে না হলে আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দেন। পরে সোলায়মানের আত্মীয় স্বজনরা তরুণীকে মারধর করে বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এই ঘটনায় শুক্রবার তরুণী বাদী হয়ে সোলায়মানসহ ২জনের বিরুদ্ধে মুলাদী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ সূত্র এবং তরুণী জানান, ২০১৬ সালে সোলায়মান সাথে তাঁর পরিচয় হয় এবং একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক হয়। ২০১৭ সালে সোলায়মান বিদেশে চলে যায় এবং মোবাইল ফোন, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমুতে তরুণীর সাথে যোগাযোগ রাখে। ওই সময় সোলায়মান তরুণীকে বিয়ের কথা বলে এবং অন্যত্র বিয়ে করতে নিষেধ করেন। তরুণী আরও বলেন, গত ২৪ আগস্ট সোলায়মান বিদেশ থেকে দেশে আসে এবং মতিঝিল এলাকায় তরুণীর সাথে দেখা করেন। পরে সোলায়মান তরুণীকে ঢাকায় একটি বাসায় নিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। ২৫ আগস্ট ওই তরুণীকে নিয়ে সোলায়মান গ্রামের বাড়িতে আসেন। ওই দিন রাতে তরুণীকে বাড়িতে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করা হয়। গত কয়েকদিন ধরে ওই তরুণী মোবাইল ফোনে সোলায়মানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। সোলায়মান অন্য মেয়েকে বিয়ের প্রস্তুতি নিলে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তরুণী বিয়ের দাবিতে ছেলের বাড়িতে অবস্থান নেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চরলক্ষ্মীপুর গ্রামের এনামুল বেপারীর ছেলে রায়হান ও সোলায়মানের পরিবারের লোকজন তরুণীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। তরুনী বলেন, সোলায়মান বিয়ের কথা বলে আমার সর্বস্ব কেড়ে নিয়েছে। এখন আমাকে ফেলে অন্য মেয়েকে বিয়ে করছে। কিন্তু সোলায়মান আমাকে বিয়ে না করলে আমি তাঁর বাড়িতে বসে আত্মহত্যা করবো। এ ব্যাপারে সোলায়মানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম মাকসুদুর রহমান বলেন, তরুণী ঢাকার মতিঝিলে ধর্ষণের এবং চরলক্ষ্মীপুর গ্রামে বিয়ের দাবিতে অবস্থান করে মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তরুণীকে মতিঝিল থানায় ধর্ষণের মামলা করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।