রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলো স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সেটিতে এখনও চিকিৎসা ব্যবস্থার বেহাল দশা। এটি বর্তমানে নিজেই রোগী হয়ে পড়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে সাদিকাতুল তাহিরিন যোগদানের পর থেকেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি বিধি অনুযায়ী ওই কর্মকর্তা তাঁর কর্মস্থলে বসবাসের কথা থাকলেও তিনি ৫০ কি মিটার দুরে রংপুর শহরে বাস করেন। প্রতি সপ্তাহে মাত্র ২ হতে ৩ দিন অফিস করেন। কোন কর্মকর্তা কর্মচারিদের যে কোন আবেদন নিবেদন বা ফাইল পত্রে স্বাক্ষর করতে অহেতুক টালবাহান করে কাল ক্ষেপন করেন। অধস্তনদের তাই অহেতুক হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে। হাসপাতালে সংস্কার কাজ হচ্ছে অযুহাতে নাকি তিনি অফিসে আসেন না। অথচ ওই কর্মকর্তার কক্ষে কোন প্রকার কাজ হচ্ছে না। গত বছরই ওই কর্মকর্তার কক্ষটির যাবতীয কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যেদিন তিনি অফিস করেন সেদিন তাঁকে সরকারি গাড়ি দিয়ে রংপুর থেকে নিয়ে আসতে হয়। সরকারি নির্দেশ রয়েছে কর্মস্থলে এসে কাজের প্রয়োজনে কোন এলাকায় যেতে হলে সেখানে তিনি সরকারি গাড়ি ব্যবহার করবেন। একটি সুত্র জানায়,ওই কর্মকর্তার গাড়ির চালক সরকারি গাড়িসহ তাঁকে বাসায় রেখে আসেন। তিনি নিজের ইচ্ছে মতো গাড়িটি রংপুর জেলা শহরে ব্যবহার করেন। যেদিন অফিস করেন সেদিন ড্রাইভারকে বাসযোগে রংপুর গিয়ে গাড়িসহ তাকে নিয়ে আসেন। এভাবে সরকারি গাড়ির যথেচ্ছাচার ব্যবহার হচ্ছে। ইউএইচএফপিও’র অধিন এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ স্তরের ৩ শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী দায়িত্বরত রয়েছেন। কারো কোন প্রয়োজনে তাঁর সাথে দেখা করতে চাইলে দরজার সামনে দীর্ঘক্ষন দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ডাক্তার নার্সসহ সকলের ক্ষেত্রে একই নিয়ম চালু করেছেন। যে কারণে সব স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারিরা অতিষ্ট। তার প্রতি রুষ্ট হয়েছেন অনেকেই। অভিযোগ রয়েছে,উক্ত কর্মকর্তার আচরনে সকলেই অতিষ্ট। সব ক’টা স্তরেই তাই চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহর্তে বড় ধরনের অঘটন ঘটে যেতে পারে। যে কারণে কেউই কাজে মনযোগী হচ্ছেন না। যে কারণে গোটা হাসপাতালে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। ভেঙ্গে পড়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। সাধারন মানুষ চিকিৎসা নিয়ে এসে এজন্য অহেতুক হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। একটি সুত্র জানায়, ১টি পৌরসভা ও ১৫ ইউনিয়নের এই বিশাল উপজেলার ৪ লক্ষাধিক জনগোষ্ঠীর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স পরিচালনার মতো যোগ্যতা অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা কোনটাই নেই ওই কর্মকর্তার। মাত্র কিছুদিন পুর্বে তিনি পার্শ্ববর্তী মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগদানে করেছিলেন। দু’বছর দায়িত্ব পালনের পর তাকে ওএসডি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে নেয়া হয়। সেখান থেকেই দেনদরবারের মাধ্যমে তিনি পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিরকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে এখানে যোগদান করেন। এসেই নানা অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে বিপুল পরিমান অর্থ তছরুপ করেছেন তিনি। গত এপ্রিল ও মে মাসে কমিউনিটি ক্লিনিকের সদ¯্রদের অবহিত করনের নামে বরাদ্দকৃত ৩ লক্ষাধিক টাকা এবং পুষ্টি সপ্তাহ পালনের নামে লক্ষাধিক টাকা তছরুপ করলেও রহস্যজনক কারণে সে অভিযোগের কোন তদন্ত হয়নি। বরং উল্টো ধামাচাপা পড়ে রয়েছে !