আমতলী উপজেলার পুজাখোলা গ্রামের ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক হাওলাদারের বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডাকাতদল ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক হাওলাদারকে কুপিয়ে এবং তার স্ত্রীর হাত-পা বেঁধে ঘরে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার নিয়ে গেছে। গুরুতর আহত রাজ্জাক হাওলাদারকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার গভীর রাতে। শনিবার দুপুরে ওসি একেএম মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার পুজাখোলা গ্রামের ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক হাওলাদারের ঘরে শুক্রবার সন্ধ্যা রাতে সুকৌশলে ডাকাত চক্রের সদস্যরা ঘরে ঢুকে লুকিয়ে থাকে। রাত গভীর হলে ৭-৮ জনের ডাকাতদল গৃহকর্তা ব্যবসায়ী রাজ্জাক হাওলাদারকে কুপিয়ে জখম করে এবং ঘরের আলমিরার চাবি নিয়ে যায়। টের পেয়ে তার স্ত্রী রাশিদা বেগম ডাকচিৎকার দিলে ডাকাতদল তার মুখে ওড়না দিয়ে হাত-পা বেধে ফেলে। পরে তার পরিহিত দুই ভরি স্বর্নাংলকার এবং ঘরে থাকা নগদ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্বজনরা তাদের ওই রাতেই উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মোঃ মিনহাজুল ইসলাম গুরুতর আহত রাজ্জাক হাওলাদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছে। বর্তমানে তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শনিবার দুপুরে আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আহত রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে রাকিব হাওলাদার বলেন, ধারনা করা হচ্ছে ডাকাত দলের সদস্যরা সন্ধ্যা রাতে সুকৌশলে ঘরের ভিতরে লুকিয়ে ছিল। গভীর রাতে ৭-৮ জনের ডাকাতদল বাবাকে কুপিয়ে এবং মায়ের হাত-পা বেধে ঘরে থাকা ২৫ হাজার টাকা ও মায়ের পরিহিত দুই ভরি স্বর্নালংকার নিয়ে গেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মিনহাজুল ইসলাম বলেন, আবদুর রাজ্জাক হাওলাদারের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়েই ওই রাতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। মঙ্গলবার সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।