ভোলার দৌলতখানে চাকুরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জনৈক ব্যক্তির কাছ থেকে মাদরাসা সুপারের নেয়া ঘুষ বাণিজ্যের ৪ লাখ টাকা উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিয়ে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ভোলা-২আসনের এমপি আলী আজম মুকুল। জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের রাহিমা বেগম ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো. সেলিম থেকে এমপি চাকুরীর জন্য ঘুষ নেয়া ৪ লাখ টাকা উদ্ধার করে চাকুরী প্রত্যাশী ঘুষ দেয়া আবুল খায়ের কে ওই টাকা ফিরিয়ে দেন। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকার সর্বত্র ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ঘটনার বিবরণে আরও জানা যায়, মাদরাসায় চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ওই মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মোঃ সেলিম একই এলাকার আবুল খায়েরের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা ঘুষ নেন। ঘুষের টাকা জোগাড় করতে চাকুরী প্রার্থী আবুল খায়ের জমি বিক্রি করে কয়েক দফায় সুপারের দাবিকৃত ৪ লাখ টাকা পরিশোধ করেন।
দাবিকৃত টাকা পরিশোধের পর আবুল খায়ের জানতে পারেন তাকে মাদরাসায় চাকুরীতে নিয়োগ দেয়া হবে না। তিনি বিষয়টি জেনে মাদ্রাসা সুপারের কাছে তার দেয়া টাকা ফেরত চান। সুপার সেলিম চাকুরী দেয়ার প্রলোভনে নেয়া ঘুষের সেই টাকা ফিরিয়ে দিবেন না বলে জানান। টাকা ফেরত পেতে আবুল খায়ের দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়িয়েছেন। অবশেষে আবুল খায়ের স্থানীয় এমপি আলী আজম মুকুলের কাছে সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে এমপি আলী আজম মুকুল মাদ্রাসার সুপারকে ঘুষের ৪ লাখ টাকা ফিরিয়ে দিতে বলেন। শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মোঃ সেলিম এমপির বোরহানউদ্দিন বাস ভবনে এমপির কাছে ৪ লাখ ফেরত দেন। এমপি মুকুল উদ্ধারকৃত ওই টাকা আবুল খায়েরের হাতে তুলে দেন। এ সময় বোরহানউদ্দিন উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও পৌর মেয়র রফিকুল ইসলামসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।