ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বই পড়াতে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ তৈরিতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন "অদম্য ১৯" এর উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে ভ্রাম্যমান পাঠাগার। ইতোমধ্যে এ পাঠাগারটি এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছে।
জানা যায়,"পাঠাগারের সার্থকতা হাসপাতালে চেয়েও কম নয়" এই প্রতিপাদ্য ‘অদম্য ১৯ ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার’ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শুরু করে। পৌর শহরের স্কুলগুলোতে সপ্তাহের দিনগুলোতে চক্রাকারে আবর্তিত হয় এ পাঠাগার। পাঠাগারের ভ্যান দেখেই ছুটে আসছেন শিক্ষার্থীরা। পছন্দের বই পাঠ করে জ্ঞান ভান্ডার সমৃদ্ধ করে। ভ্রাম্যমান পাঠাগারটিতে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রায় ১ হাজার বই রয়েছে। প্রতি মাসেই যুক্ত হচ্ছে নতুন বই। এ ছাড়া বাড়িতে বই নিয়েও পাঠের সুযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা একটা ফরম পূরণ করার মাধ্যমে এক সপ্তাহের জন্য বই বাড়িতে নিয়ে যেতে পারে। পরবর্তী সপ্তাহে আগের বই ফেরত দিয়ে নতুন বই নিতে পারে। পাঠাগারটি তৈরিতে অর্থের যোগান দিয়েছেন ৮৫’ সামাজিক সংগঠনের সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুল হামিদ বাচ্চু। এ পাঠাগার সম্পর্কে প্রতিষ্ঠাতা মুনতাসীর ফুয়াদ বলেন, জ্ঞান ভিত্তিক বা সমাজ ব্যবস্থা একজন মানুষকে মানবিক হিসেবে মানুষ তৈরি করার ক্ষেত্রে পাঠাগারের বিকল্প নেই। আমাদের সমাজে ছেলেমেয়েরা পাঠ্যবইয়ের বাইরে খুব কমই জ্ঞান রাখে। ফলে যদি জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। এ চিন্তা থেকেই শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে ও বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে নেওয়া হয়েছে বই পড়ার এ উদ্যোগ। গ্রাম সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও গফরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুল কাদির বলেন, বই পড়ার অভ্যাস তৈরিতে তরুণদের ভ্রাম্যমাণ পাঠাগারের উদ্যোগটি ইতিবাচক। আশাকরি তাঁরা তাদের এই কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সামনে এগিয়ে যাবে। অ্যাডভোকেট শাহাব উদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম মাহমুদ হোসেন সেলিম বলেন, বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করা এখন সময়ের দাবি। তাই এই ভ্রাম্যমান পাঠাগার এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবিদুর রহমান বলেন, তরুণদের এই উদ্যোগ খুবই প্রশংসার যোগ্য। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অদম্য ১৯ সংগঠনকে সাদুবাদ জানাই। বর্তমান সময়ে মোবাইলের প্রতি যে ভাবে যুব সমাজ আসক্ত হয়েছে এ থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। আগামী প্রজন্মের কাছে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে এই ভ্রাম্যমান পাঠাগার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।