আদি সভ্যতা
ইতিহাসের প্রথম পর্বই সবচেয়ে দীর্ঘ অথচ এ সম্পর্কে আমরা জানি সবচেয়ে কম। এই পর্বের শুরু ৩৭ হাজার বছর আগে, শেষ সাড়ে তিন হাজার বছর আগের মিসরের তৃতীয় আমেনহোটেপের স্বর্ণযুগে। এই পর্বের সময়সীমা কিন্তু পৃথিবীতে মানবসাদৃশ প্রাণীর আবির্ভাব কালের আশি ভাগের একভাগ মাত্র। পৃথিবীর নিজের ইতিহাসে তুলনায় এই সময় তো কয়েক মুহূর্ত। পৃথিবীর বয়সকে যদি আমরা একদিন ধরি, তবে মানুষের বয়স মাত্র এক মিনিট। আর এই বইয়ে যে ইতিহাস সংক্রান্ত আকারে তুলে ধরা হয়েছে তা হবে আধা সেকেন্ডের।
এই বইয়ে শেষ তুষার যুগের পরিসমাপ্তি ও ইউরোপে আধুনিক মানুষের আগমনের সময় থেকে ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। পাঁচ হাজার বছরের বেশি আগের লিখিত কোন রেকর্ড পাওয়া যায়নি বলে সভ্যতার প্রথম পর্বের ইতিহাস প্রধানত রচিত হয়েছে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের ফলে প্রাপ্ত নিদর্শন ও যুক্তিনির্ভর অনুমানকে কেন্দ্র করে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষ ও প্রসারের ফলে আমরা আজ মানুষের অগ্রগতির একটি চিত্র তুলে ধরতে পারি। দেখাতে পারি আদিম শিকারি ও ফলমূল সগ্রহজীবী মানুষ কিভাবে লিখতে জানলেও জটিল কৌশল আয়ত্ত ও দক্ষতা অর্জন করে গড়ে তোলে প্রথম সভ্যতা। মানুষের প্রথম এ সভ্যতা আলাদা আলদাভাবে গড়ে উঠেছিল প্রধানত নিকট প্রাচ্য, চীন ও ভারতের উর্বর নদী উপত্যাকা এলাকায়। এসব জায়গায় উৎপাদিত খাদ্যশস্য প্রচুর পরিমাণে উদ্বৃত্ত থাকত বলে মানুষ চিন্তা করারও বেশি সময় পেত। আর এই চিন্তার ক্ষমতাই মানুষকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
একনজরে বিশ্ব
৪০০০০ : শেষ বরফ যুগ।
৪০০০০ : ক্রো-ম্যানিয় মানুষ ইউরোপের পশ্চিম দিকে যেতে শুরু করে।
৩০০০০ : নিয়ান্ডারথাল মানুষের অবলুপ্তি।
২৮০০০ : এশিয়া ও উত্তর আমেরিকার মধ্যেকার সড়ক সেতু পাড়ি দিল মানুষ।
২০০০০ : আলতামিরা ও অন্যান্য এলাকায় গুহাচিত্রের প্রসার। অস্ট্রেলিয়ায় মানুষের বাস।
১৩০০০ : ফ্রান্স ও স্পেনে গুহাচিত্রের প্রসার।
১০০০০ : মানুষ পৌছে গেছে দক্ষিণ আমেরিকার প্রান্তে।
৮৪০০ : যুক্তরাষ্ট্রের আইডাহোতে দেখা গেল প্রথম গৃহপালিত কুকুর।
৮০০০ : মধ্যপ্রাচ্যে কৃষির উন্নতি, গবাদিপশু ও ভেড়াকে পোষ মানিয়ে পালন শুরু।
৭০০০ : জেরিকোতে প্রাচীরঘেরা বসতি। মৃৎশিল্পের বিকাশ। মানুষ শিখছে ধাতুর ব্যবহার।
৬০০০ : নিওলিথিক বা নবোপলীয় যুগ।
৫০০০ : সমুদ্রে পানির উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে ইউরোপের সঙ্গে ব্রিটেনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন। উর্বর নদী উপত্যকায় সুমেরদের বসতি স্থাপন।
৪৫০০ : দক্ষিণ এশিয়ায় কৃষিসভ্যতার বিকাশ।
৪২৩৬ : মিসরীয় দিনপঞ্জিতে প্রথম তারিখ বা সময়।
৪০০০ : চীনে ইয়াং-শাও ধান চাষ শুরু।
৩৭৬০ : ইহুদি দিনপঞ্জিতে প্রথম সময়। পুরাকথায় বিশ্ব সৃষ্টির প্রথম সময়।
৩৩৭২ : মায়া দিনপঞ্জিতে প্রথম তারিখ।
৩১০২ : কলিকালের সূচনা।
৩১০০ : মিসরের উর্ধাঞ্চলীয় ও নিম্নাঞ্চলীয় রাজ্যকে একীভূত করেন রাজা মেনেস, প্রথম বংশ প্রতিষ্ঠা।
৩০০০ : ব্রিটেনের পাহাড়ে উইন্ডমিল তৈরি।
৩০০০ : ভূমধ্য সাগরের পূর্ব উপকূলে ফিনিশীয়দের বসতি স্থাপন।
৩০০০ : আসিরীয় ও মিসরীয় সভ্যতায় ইটের প্রথম ব্যবহার।
৩০০০ : সুমের ও মিসরে প্রথম নগরী।
৩০০০ : চাকা আবিষ্কার।
২৮০০ : মিসরের প্রাচীন রাজবংশ।
২৮০০ : মিসরে প্রাচীন রাজ্য প্রতিষ্ঠা; তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ বংশ পর্যন্ত।
২৭৮০ : মিসরের রাজা হলেন জোসার। তার মন্ত্রী ইমহোটেপ প্রণয়ন করেন ধাপবিশিষ্ট পিরামিডের নকশা। বিশ্বের প্রথম পিরামিড।
২৭৫০ : সুমেরিয়ার উরুকের রাজা গিলগামেশ (লোককাহিনী অনুসারে)
২৭০০ : খুফুর মিসর শাসন, গিজায় বিশালকায় পিরামিড নির্মাণ।
২৬৯৭ : চীনের সিংহাসনে বসেন হুয়াং-তি, পরিচিতি পান ‘পীত সম্রাট’ হিসাবে।
২৫০০ : ক্রিটে মিনোয়ানদের ক্লসস নগর প্রতিষ্ঠা।
২৫০০ : ভারতের সিন্ধুসভ্যতা।
২৫০০ : ক্রিটে আদি মিনোয়ান সভ্যতা, ক্লসস নগরী প্রতিষ্ঠা।
২৩৫০ : চীনে ইয়াও বংশ। আক্কাদীয় সরগনের সুমেরিয়া বিজয়, প্রথম বৃহৎ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা।
২৩০০ : সুমের সামাজ্য প্রতিষ্ঠা।
২২৫০ : চীনের সম্রাট হলেন ইউ-শান।
২২০০ : চীনে শিআ বংশ প্রতিষ্ঠা।
২১৫০ : আর্যদের সিন্ধু উপত্যাকায় আগমন।
২১০০ : উর সাম্রাজ্য (২০০০ পর্যন্ত)। মিসরের মধ্যবর্তী রাজ্য, ৭ম বংশ দিয়ে শুরু। পিতা আব্রাহাম উর থেকে চলে গেলেন কনান। সিন্ধু উপত্যকায় আর্যদের অভিযান।
২০০০ : উত্তর ইউরোপে ব্রোঞ্জ যুগ শুরু হওয়ার পথে।
১৯৫০ : উর সামাজ্যের পতন।
১৯৫০ : মিসরের প্রথম সেসোস্ট্রিসের কনান অভিযান; উর সাম্রাজ্যের বিলুপ্তি।
১৯২৬ : হিত্তীয়দের ব্যাবিলন অধিকার।
১৮৬০ : ব্রিটেনে পাথরঘেরা সমাধিস্থল ও বসতি নির্মাণ শুরু।
১৮৩০ : ব্যাবিলনীয় রাজাদের প্রথম রাজবংশ প্রতিষ্ঠা।
১৭৬০ : চীনে শাং বংশ প্রতিষ্ঠা।
১৭৩০ : হিকসস নামে একটি সেমীয় গোষ্ঠী মিসর জয় করতে শুরু করে; প্রতিষ্ঠা করে পঞ্চদশ বংশ।
১৭২৮ : মহান আইনপ্রণেতা হামুরাবির ব্যাবিলনের সিংহাসন লাভ।
১৫৭০ : মিসরে নয়া রাজবংশ।
১৫৩০ : মোয়েনজোদারো ধ্বংস।
১৫০০ : ইন্দো-আর্যদের আগমন।
১৫০০ : সিন্ধু উপত্যকার মোয়েনজোদারো ধ্বংস।
১৪২০ : মিসরে তৃতীয় আমেনহোটেপের ‘স্বর্ণযুগ শুরু।
১৪০০ : অগ্নিকাণ্ডে ক্রিটে মিনোয়ানদের রাজধানী ক্লসস নগরী ধ্বংস।
১৪০০ : পশ্চিম এশিয়া ও ভারতে লৌহযুগ।
১৪০০ : বেদণ্ডরচনাকাল।
১৩৭৯ : মিসরের সিংহাসনে চতুর্থ আমেনহোটেপ, প্রচলন করেন সূর্যপূজা, নিষিদ্ধ করে দেন অন্যসব দেবদেবীর পূজা; সূর্যদেবতা আতনের নামে নিজের নামকরণ করেন আখেনআতন। খারাপ সরকারের সময়।
১৩৭৫ : এশিয়া মাইনরে হিত্তীয়দের রাজা হলেন সুপ্পিলুলিউমাস। শক্তিশালী সাম্রাজ্য স্থাপনের উদ্যোগ।
১৩৬৬ : আসিরিয়ার শাসক হলেন প্রথম আসুরুবাল্লিত; চেষ্টা চালান শক্তিশালী রাজ্যে পরিণত হওয়ার।
১৩৬১ : মিসরে আখেনআতনের স্থলাভিষিক্ত হলেন বালক তুতানখামেন। তার উপদেষ্টারা আবার মিসরের পুরনো দেবদেবীর পূজা চালু করেন।
১৩১৯ : মিসরে প্রথম রামেসেসের উনবিংশ বংশ প্রতিষ্ঠা।
১৩১৩ : রামেসেসের পুত্র প্রথম সেতি মিসরের হারানো এলাকা ফিলিস্তিন ও সিরিয়া পুনরুদ্ধারেরর জন্য অভিযানে বের হন।
১৩০৪ : মিসরে দ্বিতীয় রামেসেসের সিংহাসনে আরোহণ।
১৩০০ : আবুসিম্বেল মন্দির নির্মাণ শুরু, মিসরে ইজরেলি কলোনিগুলোতে অত্যাচার। ফিনিশীয়দের প্রধান বন্দর হিসাবে সিজনে সমৃদ্ধি।
১২৯৮ : কাদেশে মুতাওয়াল্লিসের নেতৃত্বাধীন হিত্তীয়দের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় রামেসেসের যুদ্ধ; উভয় দলেরই বিজয় দাবি।
১২৮৩ : হিত্তীয়দের সঙ্গে শান্তি স্থাপন করলেন দ্বিতীয় রামেসেস।
১২৮০ : ইজরেলে বিচারকদের যুগ শুরু।
১২৭৫ : আসিরিয়ার শাসক হলেন প্রথম শালমানেসের, রাজ্যজয় অব্যাহত।
১২৫০ : অভিনিষ্ক্রমণ; নবি মুসার নেতৃত্বে মিসর থেকে ইজরেলিদের মিসর ত্যাগ।
১২৩২ : ইজরেলিদের কনান আগমন। দ্বিতীয় রামেসেসের পুত্র মারনেপ্তার সঙ্গে যুদ্ধে তারা পরাজিত।
১১৯৩ : গ্রিকদের হাতে ট্রয় নগরী ধ্বংস।
১১৯৩ : দীর্ঘস্থায়ী অবরোধের পর গ্রিকবাহিনী ধ্বংস করে দেয় ট্রয় নগরী।
১১৮৮ : মিসরের শাসক হলেন তৃতীয় রামেসেস।
১১৭৫ : ফিলিস্তিনি, গ্রিক, সার্ডিনীয় ও সিসিলীয়সহ সমুদ্রপারের বিভিন্ন জাতির সম্মিলিতভাবে মিসর আক্রমণ; তৃতীয় রামেসেসের কাছে পরাজিত।
১১৭০ : ফিনিশিয়ার নব্যস্বাধীন শহরগুলোর টায়ার বন্দরের উদীয়মান শক্তি হিসাবে পরিচিতি লাভ।
১১৪০ : ফিনিশীয়রা উত্তর আফ্রিকার উটিকায় (বর্তমান তিউনিসে) প্রতিষ্ঠা করে তাদের প্রথম উপনিবেশ।
১১২৫ : ব্যাবিলনের রাজা নেবুসাদনেজার প্রতিহত করেন আসিরিয়ার পুনরাক্রমণ।
১১২২ : সম্রাট উ ওয়াং চীনে প্রতিষ্ঠা করেন চৌ বংশ। প্রতিষ্ঠা করেন সামন্ত প্রথা।
১১১৬ : আসিরিয়ার শাসক হলেন প্রথম তিগলাথপিলেসার। তিনি উত্তর দিক থেকে আসা শক্তিসমূহের অভিযান প্রতিহত করেন এবং জয় করেন ব্যাবিলন।
১১০০ : প্রথম চীনা অভিধান।
১০৬৫ : একাদশ রামেসেসের মৃত্যুর পর নয়া রাজ্যের পরিসমাপ্তি। সেমেন্ডেস নামের এক ধনী বণিক হলেন ফারাও; তিনি প্রতিষ্ঠা করেন একবিংশতিতম বংশ।
১০৫০ : পেলোপপানিসাস বা দক্ষিণ গ্রিসে ডোরিয়ানদের অভিযান।
১০৫০ : ফিলিস্তিনিরা জয় করে ইজরেল।
১০৪৫ : অ্যাথেন্সের শেষ রাজা কর্ডন নিহত।
১০১০ : ইজরেলিদের সর্বশেষ বিচারপতি স্যামুয়েল ইজরেলের রাজা হিসাবে অভিষিক্ত করেন শোলকে। তিনি ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সফল বিদ্রোহ পরিচালনা করেন।
১০০০ : গিলবোয়ার যুদ্ধে শোল নিহত। তার স্থলভিষিক্ত হলেন ডেভিড; তিনিই জুডার প্রথম রাজা। পরে তিনি হলেন ইজরেলের রাজা। তিনি জেরুসালেম জয় করেন এবং একে রাজধানীতে পরিণত করেন।
১০০০ : ভারতে আর্যদের ধর্মীয় গ্রন্থ ঋগে¦দ সংকলিত।
৯৯৪ : টিউটনরা সরে আসে রাইনের পশ্চিমে।
৯৯৪ : ডেভিডের জেরুসালেম দখল।
৯৬১ : ডেভিডের মৃত্যু; তার স্থলাভিষিক্ত হলেন সলমন।
৯৫৩ : টায়ারের হিরামের কাছ থেকে সংগৃহীত উপকরণ ও সাহায্য নিয়ে সলমন জেরুসালেমে প্রতিষ্ঠা করেন মন্দির।
৯৩৫ : দ্বিতীয় অসুরদানের সিংহাসন লাভের পর আসিরিয়ার পুনরুত্থান। ৮৬০ অব্দের মধ্যে তিনি ও তার উত্তরসূরিরা পুনরুদ্ধার করেন আসিরিয়ার পূর্বতন রাজ্যসীমা।
৯২২ : সলমনের মৃত্যু : সিংহাসন লাভ করেন তার পুত্র রোহোবোয়াম। তার শাসনের বিরুদ্ধে জেবোবোয়ামের বিদ্রোহ; রাজ্য দুভাগে বিভক্ত। রেহোবোয়ামের অধীনে আসে দক্ষিণের অংশ জুভা, জেরোবোয়ামের অধীনে থাকে উত্তরেরর অংশ ইজেরেল।
৯২২ : তৃতীয় শালমানেসেরের অগ্রাভিযান প্রতিহত করতে সম্মিলিত বাহিনী গড়ে তোলেন ইজরেলের আহব, দামাস্কাসের বেন হাদাদ ও হামাসের ইরখুলেনি।
৯২২ : শালমানেসেরকে সমর্থন করে মিসর ও জুড়া।
৮৮৪ : আসিরিয়ায় কেন্দ্রীয় সরকার।
৮৪২ : জেহু নামে এক ইজরেলি সৈনিক আহাবের পুত্র জেহোরমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে এবং ইজরেলে একটি নতুন বংশ প্রতিষ্ঠা করে।
৮১৪ : ফিনিশীয়রা উত্তর আফ্রিকায় তাদের উপনিবেশ উটিকার কাছে প্রতিষ্ঠা করে কার্থেজ নগরী।
৮১০ : তৃতীয় আদাদণ্ডনিরারির প্রতিভূ হয়ে আসিরিয়া শাসন করেন তাঁর মাতা সাম্মুরামাত।
৮০০ : প্রচলিত বিশ্বাস, এ সময় হোমার রচনা করেন ইলিয়াড ও অডিসি মহাকাব্য।
৭৮৩ : দ্বিতীয় জেরোবোয়াম হলেন ইজরেলের রাজা (৭৪৮ অব্দ পর্যন্ত)। তাঁর সময় রাজ্যে আসে সমৃদ্ধি।
৭৭৬ : গ্রিসে প্রথম অলিম্পিক ক্রীড়া।
৭৭০ : চীনে পূর্ব চৌ বংশ (২৫৬ অব্দ পর্যন্ত)।
৭৫৩ : (প্রচলিত বিশ্বাস) রমুলাস ও রেমাস প্রতিষ্ঠা করেন রোম নগরী।
৭৪৬ : তৃতীয় তিগলাথ-পিলেসারের আসিরিয়া শাসন।
৭৪৩ : মেসেনিয়া জয় করার জন্য স্পার্টা শুরু করে তার প্রথম যুদ্ধ, সমাপ্তি ৭১৬ অব্দে।
৭৩২ : আসিরীয়দের দামাস্কাস দখল।
৭২২ : আসিরিয়ার দ্বিতীয় সারগন দখল করেন সামরিয়া, বিলুপ্তি ঘটান ইজরেল রাজ্যের।
৭২২ : মিসরে ইথিওপীয় রাজাদের শাসন (৬৮২ অব্দ পর্যন্ত); পঞ্চবিংশতি বংশ।
৭১০ : আসিরীয়রা ধ্বংস করে কলদিয়া রাজ্য।
৭০৫ : সেন্নাচেরিব হলেন আসিরিয়ার রাজা (৬৮২ অব্দ পর্যন্ত)।
৭০১ : নিনেভেতে রাজধানী প্রতিষ্ঠা করেন সেন্নাচেরিব।
৬৮৯ : আসিরীয়দের হাতে ব্যাবিলন ধ্বংস।
৬৮৬ : দ্বিতীয় নেবুসাদনেজার জেরুসালেম আক্রমণ করেন। জুডার অধিবাসীদের ক্রীতদাস হিসাবে নিয়ে যান ব্যাবিলন।
৬৮৩ : অ্যাথেন্স উত্তরাধিকারসূত্রে রাজা হওয়ার প্রথা বিলুপ্ত। শাসনের জন্য প্রতি বছর অভিজাতদের মধ্য থেকে নয় জন প্রতিনিধি নিয়োগের বিধান।
৬৮২ : আসিরিয়ার কাছে জুডার বশ্যতা স্বীকার।
৬৬৯ : অসুরবনিপাল রাজা হলেন আসিরিয়ার (৬২৭ অব্দ পর্যন্ত)।
৬৬৩ : অসুরবনিপাল তার বিশাল বাহিনী নিয়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেন মিসরের থিবিস নগরী।
৬৬০ : বাইজেন্টিয়াম প্রতিষ্ঠা।
৬৫০ : সিরিয়া ও ফিলিস্তিনের ওপর সাইথিয়ানদের আক্রমণ।
৬৫০ : দ্বিতীয় মেসেনীয় যুদ্ধে স্পার্টা দমন করে বিদ্রোহী প্রজাদের।
৬২৬ : কলদীয় সেনাপতি নবোপলাসার দখল করেন ব্যাবিলনের সিংহাসন। তিনি তার দেশকে আসিরিয়া থেকে স্বাধীন বলে ঘোষণা দেন।
৬২১ : মিডীয়, সাইথীয় ও ব্যাবিলনীয়রা ধ্বংস করে নিনেভে।
৬১২ : নিনেভে ধ্বংস।
৬০৯ ; আসিরীয় সাম্রাজ্যের অবলুপ্তি।
৬০৫ : ব্যাবিলনের শাসন ক্ষমতায় দ্বিতীয় নেবুসাদনেজার।
৬০৫ : দ্বিতীয় নেবুসাদনেজার হলেন ব্যাবিলনের রাজা (৫৬১ পর্যন্ত)। তিনি সিরিয়ার কারসেমিশে পরাজিত করেন নেকো ও মিসরীয়দের। ব্যাবিলনের শাসনাধীনে চলে আসে জুড়া।
৬০০ : পারস্যে হাওয়াকল দিয়ে শস্য মাড়াই।
৫৯৪ : অ্যাথেন্সে নতুন নমনীয় আইন প্রচলন করলেন সোলন। তিনি প্রতিষ্ঠা করেন জনগণের বিচারালয়, সংস্কার করেন স্থানীয় শাসক নির্বাচন ব্যবস্থার।
৫৮০ : নেবুসাদনেজার শুরু করেন বিশ্বের অন্যতম এক আশ্চর্য ব্যাবিলনের শূন্যোদ্যান তৈরি।
৫৬৩ : গৌতম বুদ্ধের জীবকাল।
৫৫৯ : পারস্য সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠান করেন মহান সাইরাস।
৫৫৯ : পারস্যের মহান সম্রাট সাইরাস স্থাপন করেন পারসিক সাম্রাজ্য।
৫৫১ : কুংফুৎজির জন্ম; তিনি পরিচিত কনফুসিয়াস হিসাবে। চীনের বিখ্যাত দার্শনিক।
৫৫০ : কনফুসিয়াসের জন্ম।
৫৪৬ : সার্দিসের যুদ্ধ : সাইপ্রাসের কাছে পরাজিত হয় লিডিয়ার সর্বশেষ রাজা ক্রোয়েসাস। পারসিকরা তছনছ করে এশিয়া মাইনর।
৫৩৯ : রোম প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা।
৫৩৯ : গ্রিকরা পরাজিত করে কার্থেজীয়দের। সাইরাস জয় করেন ব্যাবিলনিয়া। জুডা ও ফিনিশিয়াকে পরিণত করেন পারস্য সাম্রাজ্যের প্রদেশে।
৫৩৮ : সাইরাসের এক নির্দেশ বলে জুডায় ফিরে আসে কিছু ইহুদি।
৫৩৪ : রোমের শেষ সম্রাট টারকুইনিয়াস সুপারবাস (৫১০ অব্দ পর্যন্ত)
৫৩০ : পারস্যের শাসক হলে ক্যাষিসেস (৫২১ অব্দ পর্যন্ত)।
৫২৭ : মহাবীরের নির্বাণ।
৩২৭ : সেকান্দার শাহের ভারত আক্রমণ।
৫২৫ : ক্যাম্বিসেসের মিসর জয়। দেশটি পারসিক রাজাদের দখলে থাকে ৪০৪ অব্দ পর্যন্ত।
৫২১ : পারস্যের শাসক হলেন প্রথম দরিয়ুস। পারস্য সাম্রাজ্য ২০টি প্রদেশে বিভক্ত। এর মধ্যে মিসরও একটি।
৫২০ : জেরুসালেম মন্দিরের কাজ পুনরায় শুরু, সমাপ্ত ৫১৫ অব্দে।
৫১০ : রোমের শেষ সম্রাট টারকুইনিয়াসকে উচ্ছেদ করে বিদ্রোহীরা।
৫০৯ : রোম প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা।
৫০৮ : অ্যাথেন্সের শাসনতন্ত্র সংস্কার করেন ক্লেসথেনেস এবং প্রবর্তন করেন গণতান্ত্রিক সরকার। ইট্রুস্কান শাসক লার্স প্রোসেনার রোম আক্রমণ; তিবার নদীর সেতুতে তাদের সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করেন হোরাশিয়াস ককলেস।
৫০৮ : কার্থেজের সঙ্গে সন্ধি করে রোম।
৫০৭ : অ্যাথেন্স অভিজাততন্ত্র বজায় রাখতে চেষ্টা চালায় পাটানরা; এতে নেতৃত্ব দেন ক্লিওমেনেস। অ্যাথেনীয়রা আন্দোলন করে আবার ক্ষমতায় বসায় ক্লেসথেনেসকে।
৫০০ : বান্টুভাষীরা ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব আফ্রিকায়।
৫০০ : বান্টুভাষী লোকজন ছড়িয়ে পড়তে থাকে পূর্ব আফ্রিকায়।
৪৯৯ : অ্যাথেন্সের সমর্থন পেয়ে আইওনিয়া বিদ্রোহ করে পারস্যের বিরুদ্ধে। ৪৯৪ অব্দে দরিয়ুস মিলেটাস ধ্বংস করে দিলে এই বিদ্রোহের অবসান ঘটে।
৪৯৬ : রোমানরা পরাজিত করে লাতিনদের।
৪৯৪ : রোমে প্লিবিয়ানদের বিদ্রোহ এবং প্যাট্রিশিয়ানদের কাছ থেকে রাজনৈতিক অধিকার আদায়।
৪৯৩ : রোমের সঙ্গে লাতিন লিগের অন্যান্য সদস্য দেশের চুক্তি। লক্ষ্য হচ্ছে, ইট্রুস্কানদের আক্রমণের বিরুদ্ধে একে অপরকে সাহায্য করা।
৪৯২ : অ্যাথেন্সের বিরুদ্ধে মারডোনিয়াসের নেতৃত্বে পারসিকদের সমুদ্রযুদ্ধের জন্য যাত্রা। ঝড়ে তার নৌবহর বিধ্বস্ত।
৪৯০ : পারসিকদের দ্বিতীয় যুদ্ধাভিযান : ম্যারাথনের যুদ্ধে অ্যাথেনীয়দের কাছে পারসিকদের পরাজয়।
৪৮৬ : পারস্যের প্রভাবশালী সম্রাট জারক্সাস (৪৬৫ অব্দ পর্যন্ত)। তিনি গ্রিক রাষ্ট্রগুলোর কাছে কর দাবি করলেও অধিকাংশ রাষ্ট্রই এই দাবি মেনে নিতে অস্বীকার করে।
৪৮০ : থার্মোপাইলি ও সালামিসের যুদ্ধ।
৪৮০ : পারস্যের তৃতীয় যুদ্ধাভিযান। ১ লাখ ৮০ হাজার সৈন্য নিয়ে জারক্সাস আক্রমণ করেন গ্রিস। থার্মোপিলি গিরিপথের যুদ্ধে গ্রিকদের পরাজয়।
৪৮০ : সালামিসের যুদ্ধে গ্রিক নৌবাহিনীর কাছে পারসিক নৌবাহিনী পরাজিত।
৪৭৯ : প্রাতিয়ার যুদ্ধ : গ্রিকবাহিনী চূড়ান্তভাবে পরাস্ত করে পারসিকদের। পারসিক নৌবহরও বিধ্বস্ত। অ্যাথেন্স ও পিরাসকে করা হল আরও সুরক্ষিত।
৪৭৭ : শক্তিশালী হয়ে উঠতে থাকে অ্যাথেন্স।