দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণে খুলনার খালিশপুর মেট্রো থানা এলাকার উত্তর কাশীপুর এলাকার কোল ঘেঁষে ভৈরব নদী তীরে গড়ে উঠেছে মেসার্স পদ্মা, মেসার্স মেঘনা ও মেসার্স যমুনা নামে ৩ টি জ্বালানি তেলের ডিপো। এ সকল তেলের ডিপোগুলোতে বিভিন্ন রকম জ্বালানি তেল সরবরাহ করে থাকে চট্টগ্রাম থেকে জ্বালানি তেল লোড নিয়ে আগত তেল পরিবাহী ট্যাংকার। এ ট্যাংকারগুলো খুলনার ডিপোগুলতে আসার পথে মোংলা থেকে ভৈরব নদীর ডিপো পর্যন্ত গড়ে উঠেছে জ্বালানি তেল চোরাই চক্র। কাশিপুর, দিঘলিয়া, রূপসা, মোংলা, বটিয়াঘাটা, চালনাসহ ভৈরব ও রূপসা নদীর তীরে একাধিক জ্বালানি তেল চোরাই চক্র। এ সকল জ্বালানি তেল চোরাই চক্রের সাথে গড়ে উঠেছে ট্যাংকারগুলোর কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের গোপন সখ্যতা বা গোপন আঁতাত। সেই সুবাদে এ এলাকা থেকে লাখ লাখ টাকার জ্বালানি তেল পাচার হয় প্রতিনিয়ত। সম্প্রতি এই তেল চুরির ব্যাপারে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন অধিনস্থ বিসিজি বেইস মোংলা কর্তৃক অভিযানে বিপুল পরিমাণ চোরাই ডিজেলসহ একটি স্টীল বডি (নৌকা) জব্দ করা হয়েছে। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে দু’টার দিকে মোংলা উপকূলবর্তী এলাকা থেকে চোরাই ডিজেলের এই চালান জব্দ করা হয়।আজ দুপুরে লেঃ কমান্ডার এম মামুনুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিঙ্গপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গভীর রাতে মোংলা উপকূলবর্তী এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ১ টি ইঞ্জিন চালিত স্টীল বডি (নৌকা) থেকে আনুমানিক ৫ হাজার ৪শ’ ৮০ লিটার চোরাই ডিজেলসহ জাহাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের প্রায় ১ হাজার মিটার রশি জব্দ করা হয়। এর আগে কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। জব্দকৃত চোরাই ডিজেল, রশি এবং স্টীল বডি (নৌকা) পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মোংলা থানায় হস্তান্তর করা হয়। তবে এঘটনার সাথে সম্পৃক্তদের খুঁজে পেতে কোস্টগার্ডের সদস্যরা অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
আইন প্রয়োগকারী সকল সংস্থা তৎপর হলে এ সকল তেলচোর সিন্ডিকেটকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বিজ্ঞমহল।