প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা উৎকোচ গ্রহনের মাধ্যমে দুই পদে নিজের পছন্দের প্রার্থী নিয়োগ দেয়ার ঘটনায় বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে বৃহস্পতিবার সকালে লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করা হয়েছে।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, অভিভাবক ও সচেতন এলাকাবাসীর দায়ের করা অভিযোগে জানা গেছে, কাঠালিয়া উপজেলার আমরিবুনিয়া এইচকে বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক মোঃ লিয়াকত আলী অতিসম্প্রতি অতিগোপনে একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও একজন অফিস সহায়ক নিয়োগ দিয়েছেন। বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যরা অনেকেই এ নিয়োগ সম্পর্কে কিছুই জানেন না। ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে ও অযোগ্য লোকদের নিয়োগ দেয়ার জন্য প্রধানশিক্ষক অতিগোপনে তড়িঘড়ি নিয়োগ কার্য্য সম্পন্ন করেছেন।
হেতালবুনিয়া গ্রামের বাদশা মিয়া, আমরিবুনিয়া গ্রামের হেলাল মাস্টার ও স্থানীয় ইউপি সদস্য ফয়সাল আহম্মেদসহ নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্কুলের একাধিক শিক্ষকরা বলেন, ইতঃপূর্বে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুসারে অতিগোপনে নিয়োগ কমিটির সদস্যদের ম্যানেজ করে প্রধানশিক্ষক লোক দেখানো পরীক্ষার মাধ্যমে ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে ওই দুটি পদে অযোগ্য লোকদের নিয়োগ দিয়েছেন।
তারা আরো অভিযোগ করেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে আমুয়া বন্দরের বাসিন্দা পলাশ কুমারকে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেয়া হয়। প্রধানশিক্ষক লিয়াকত আলী প্রথমে পলাশ ও তার পরিবারের কাছে চাকরির জন্য আমুয়া বন্দর এলাকা থেকে ১২ শতক জমি তার (প্রধানশিক্ষক) নামে রেজিষ্ট্রি করে দেয়ার জন্য চাঁপ সৃষ্টি করেন। জমির বিষয়টি এলাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পরলে প্রধানশিক্ষক জমি না নিয়ে পলাশের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা উৎকোচ নিয়ে নিয়োগ প্রদান করেন। অফিস সহায়ক হিসেবে আমরিবুনিয়া গ্রামের জামাল হোসেনের কাছ থেকেও দশ লাখ উৎকোচ গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযোগকারীরা নিয়োগ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন এবং অবৈধ নিয়োগ বাতিলের জোর দাবি করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধানশিক্ষক মোঃ লিয়াকত আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নিয়োগে কোনধরনের অনিয়ম হয়নি। কিছু লোক আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য মিথ্যে তথ্য রটিয়েছে।