ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজ ক্যান্টিন সচল করার দাবীতে রংপুরের বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এবং জাতীয় ছাত্র সমাজ তরুণ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্মিলিত উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার পায়রা চতুর সেন্ট্রাল রোডে অবস্থিত ডেমোক্রসি ইন্টান্যারশনাল অফিসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন ও মতবিনিময় সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ডেমোক্রেসি ইন্টার ন্যাশনালের ফেলো, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কারমাইকেল কলেজ শাখার সভাপতি মোঃ রাবিউল ইসলাম রবি। উত্তরবঙ্গের স্বনামধন্য ও ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ কারমাইকেল কলেজ ক্যান্টিন চালুর দাবিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব নিয়ে রংপুরের বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এবং জাতীয় ছাত্র সমাজ তরুণ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সম্মিলিত উদ্যোগে লিখিত বক্তব্যে তরুণ রাজনীতিকবৃন্দ বলেন, আমরা রংপুর কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থী এবং ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ২০তম ক্লাসের রাজনৈতিক ফেলো। দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের কারমাইকেল কলেজ ক্যাম্পাসের ক্যান্টিনটি বন্ধ আছে। আমাদের ক্যাম্পাসে প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য যাওয়া আসা করে। দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের ক্যাম্পাস ক্যান্টিন বন্ধ আছে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যামিক থেকে মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস চলে। শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়ে বেশি মূল্য দিয়ে টিফিন কিনে খেতে হয়। আমরা অধিকাংশ শিক্ষার্থীই মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে পড়াশোনা করতে আসি। আমাদের খাবারের নির্ধারিত একটা বাজেট থাকে। এতে করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আর্থিকভাবে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাছাড়া বাইরের হোটেলের খাবার তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকরও। আমরা ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে গণস্বাক্ষর সংযুক্ত করে কারমাইকেল কলেজের মাননীয় অধ্যক্ষেও নিকট আবেদনপত্র প্রদান করেছি। অধ্যক্ষ আমাদের সাথে একমত পোষণ করেছেন এবং আমাদের যত দ্রুতসম্ভব এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল ফেলো ও জাতীয় ছাত্র সমাজ, কারমাইকেল কলেজ শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক কমল কান্ত, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল ফেলো ও জাতীয় ছাত্র সমাজ, কারমাইকেল কলেজ শাখার যুগ্ম-আহব্বায়ক মো: ইসমাইল হোসেন, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল ফেলো ও বঙ্গবন্ধু ছাত্রপরিষদ, রংপুর মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মো: রাকিবুজ্জমান জিসানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ, সাধারণ শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।