বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য, উলামা কল্যাণ পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠাপোষক ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘খুব শিঘ্রই রাজশাহীতে মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে তাদের সাথে আমার কথা হয়েছে। আর এটি বাস্তবায়ন হলে রাজশাহীর জন্য হবে বিশাল পাওয়া। এ ছাড়া রাজশাহীতে কেন্দ্রীয় মসজিদ নির্মাণের বিষয়ে আমার কাছে প্রস্তাব এসেছে। আমার পরিকল্পনাতেও সেটি আছে। আপনারা দোয়া করবেন, আমরা রাজশাহীতে বিশ্বমানের কেন্দ্রীয় মসজিদ নির্মাণ করতে চাই।’
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উলামা কল্যাণ পরিষদ, রাজশাহীর নবগঠিত ৩০টি ওয়ার্ড কমিটির সকল সদস্যগণের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নগরীর পদ্মা কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মেয়র লিটন বলেন, রাজশাহীতে আমরা সকলে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করি। এ কারণে বাংলাদেশে তো বটেই, পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম শান্তির শহর হিসেবে রাজশাহীকে আমরা পরিচিত করতে পেরেছি। আর এ কারণে রাজশাহীর সুখ্যাতি ধীরে ধীরে বাড়ছে।
উলামা কল্যাণ পরিষদ রাজশাহীর সভাপতি মাওলানা মো. আবদুল গণির সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উলামা কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি মো. ওমর ফারুক। সভায় শেষে দোয়া ও মোনাজাত করেন পরিষদের উপদেষ্টা মুফতি শাহাদাত আলী। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- উলামা কল্যাণ পরিষদের উপদেষ্টা মাওলানা জামাল উদ্দীন মাহমুদ সন্দীপী, উপদেষ্টা ড. মাওলানা বারকুল্লাহ বিন দুররুল হুদা, সাবেক সভাপতি মাওলানা আইয়ুব আলী, উপদেষ্টা মাওলানা মোকাদ্দাসুল আল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মাওলানা গোলাম নুহ, সহ-সভাপতি মাওলানা আবদুল কাদের, মুফতি আবদুস সবুর সিরাজী, উপদেষ্টা মুফতি শাহদাত আলী, সহ-সভাপতি মুফতি ইয়াকুব আলী, আইন বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত করেন শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুফতি আবদুস সবুর সিরাজী ও ২নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মো. আবুল বাশার। অনুষ্ঠানে উলামা কল্যাণ পরিষদের সকল সদস্যবৃন্দ ও নবগঠিত ৩০টি ওয়ার্ড কমিটির সকল সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।