পাবনার চাটমোহর পৌরসভার বাসস্ট্যান্ড ও পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সদর দপ্তরের মাঝে আফ্রাতপাড়া মহল্লায় ব্যস্ততম সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড় বানানো হয়েছে। ময়লার আরেক ভাগাড় পৌরসভার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত বড়াল নদ। পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলার কোন নির্দিষ্ট স্থান নেই। নেই প্রয়োজনীয় ডাস্টবিন। চাটমোহর বাসস্ট্যান্ডের অদূরে চাটমোহর-পাবনা সড়কের পাশের খালটি এখন ময়লার ভাগাড়। প্রতিদিন পৌরসভার আবর্জনা নিয়ে সেখানে ফেলা হচ্ছে। এই ভাগাড়ের দূর্গন্ধে চলাচল দায় হয়ে পড়েছে। ব্যস্ততম এই সড়কে অসংখ্য যানবাহন ও লোকজন চলাচল করে। নাক চেপে দূর্গন্ধ থেকে বাঁচতে সড়কের ওই অংশ পাড় হতে হয়। শুধু তাই নয় এলাকার পরিবেশ দূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বেড়েছে জনদূর্ভোগ।
এদিকে শহরের হোটেল,রেস্তোরা আর মাছ,মুরগীর বাজারের সকল উচ্ছিষ্ট ও আবর্জনা দেদারছে ফেলা হচ্ছে বড়াল নদে। বড়াল এখন ময়লার ভাগাড় ও মশক উৎপাদনের খামারে পরিণত হয়েছে। শুধু এই দুইটি স্থানেই নয়। পৌর শহরের যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। প্রতিদিন বিভিন্ন মহল্লায় পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ঝাড়- দিলেও ময়লা-আবর্জনা থেকে রেহাই নেই পৌরবাসীর। তবে পৌরসভার বাসিন্দারাও তাদের বাসা-বাড়ির সামনে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখছে। ময়লা ফেলা হচ্ছে রাস্তার উপরেও। এনিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ।
এনিয়ে কথা হয় পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন সাখো’র সাথে। পৌর মেয়র জানালেন,আফ্রাতপাড়া মহল্লায় সড়কের পাশে ময়লা ফেলার বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তবে এটা সমুচিন নয়। তিনি বললেন,বড়ালে ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে ইচ্ছেমতো। এখানে বড়াল রক্ষা আন্দোলনকারীরা রয়েছেন। আমি নাম বলবো না। তারা কী করছেন,তারা শুধু বিবৃতিতে সীমাবদ্ধ থেকে ফায়দা লুটছেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,বড়াল রক্ষাকারীরা কখনও নদীর পাড়ে এসে দাঁড়ায়নি। মানুষকে বলেনি ময়লা ফেল না। সচেতনতামূলক কোন কর্মসূচি তাদের নেই। তারা পরিবেশ আন্দোলন বা বড়াল আন্দোলনের নামে কী করছে,এ প্রশ্ন চাটমোহরবাসীর।
মেয়র বলেন,আমি চেষ্টা করছি চাটমোহরকে সুন্দর রাখতে। ময়লা-আবর্জনা ফেলার একটি স্থান নির্ধারণ করাও চেষ্টা অব্যাহত আছে। এজন্য সকলের সহযোগিতা দরকার। তাছাড়া স্ব স্ব অবস্থান থেকে সবাইকে সচেতন হতে হবে।