বালিয়াকান্দি উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে জাতীয় শিক্ষা পদক-২০২২ এ উপজেলা পর্যায়ে মনোনীত হয়েছেন স্বর্পবতাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ রানা। এর আগে তিনি ২০১৭ সালে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
শ্রেণি পাঠদান, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা প্রভৃতি বিষয়ে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে এ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। ১৫ বছরের শিক্ষকতা জীবনে প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চায় বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন। মাসুদ রানা বিদ্যালযের শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদানের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিত নিশ্চিত করাসহ দুর্বল শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সাথে মতবিনিময় করে থাকেন।
গত রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) উপজেলার ৭ টি ইউনিয়ন থেকে ৭ জন শিক্ষকের মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ পূর্বক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে নির্বাচনী বোর্ড তাকে উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে নাম ঘোষনা করেন।
মাসুদ রানা সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর থেকে গণিত বিষয়ে অনার্সসহ মাষ্টার্স ডিগ্রী সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি ২০০৮ সালের ২রা জুলাই সরাসরি প্রধান শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করে ২০০৯ সালে সিইনএড প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি পেশাগত উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৬ সালে বিএড এবং ২০১৭ সালে এমএড সম্পন্ন করেন।
উপজেলায় শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ায় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মাসুদ রানা বলেন, সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেন সারা জীবন শিক্ষার আলো ছড়িয়ে মানুষের জীবন আলোকিত করে যেতে পারি। শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের পুরস্কার লাভ করায় আমি খুবই আনন্দিত। এ পুরস্কার তাকে আগামীতে ভালো কিছু করার অনুপ্রেরণা জোগাবে বলে তিনি মনে করেন।
উল্লেখ্য, জাতীয় শিক্ষা পদক-২০২২ এ বালিয়াকান্দি উপজেলায় শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকা পাইককান্দি সপ্রাবি কাজী সুস্মিতা, সহকারী শিক্ষক বহরপুর সপ্রাবি সহিদুজ্জামান, সহকারী শিক্ষিকা রামদিয়া বালিকা সপ্রাবি মাহবুবা খানম, শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান ইসলামপুর স্বাবলম্বী সপ্রাবি, শ্রেষ্ঠ বিদ্যোৎসাহী সমাজকমী কল্লোল কুমার বসু, শ্রেষ্ঠ কাব শিক্ষক চামটা সপ্রাবি হরষিত ঘোষ, শ্রেষ্ঠ এস এম সি বালিয়াকান্দি মডেল সপ্রাবি কুতুব উদ্দীন মোল্যা, শ্রেষ্ঠ কর্মচারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উজ্জল, শ্রেষ্ঠ উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার শিল্পী দাস পমী। ঝরে পরার হার কমাতে সক্ষম হয়েছে বহরপুর ইউনিয়নের রায়পুর মোঃ মনিরউদ্দীন সপ্রাবি।