বগুড়ার গাবতলীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির উপকার ভোগীদের কাছথেকে ৩০ কেজি চালের টাকা নেয়া হলেও, চাল দেয়া হচ্ছে সাড়ে ২৯ কেজি, হাফ কেজি (৫০০) গ্রাম চাল কমদেয়া হচ্ছে। এছাড়াও উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রন অফিসের ফটোকপি, কালি ও প্রিন্ট বাবদ আরো ১০ টাকা হারে প্রতিটি কার্ড থেকে আদায় করা হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২১ সেপ্টেম্বর গাবতলী উপজেলার দক্ষিনপাড়া ইউনিয়নের উজগ্রাম মেরিনা খাতুন ডিলারে।
এলাকাবাসী ও একাধিক সুত্র জানায়, সরকার এবার ১০ টাকা কেজি দরের চাল, ১৫ টাকা কেজি দরে উপকার ভোগীদেরকে প্রদান করছেন। স্বচ্ছতা ফিরে আনতে পুর্বের উপকার ভোগীদের ছবিসহ অনলাইনে কার্ড অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকানুযায়ী উপজেলার সকল খাদ্যবান্ধব ডিলারগন স্ব-স্ব-এলাকাহতে চাল বিতরন করছেন।
বুধবার ২১ সেপ্টেম্বর উপজেলার দক্ষিনপাড়া ইউনিয়নের উজগ্রামের ডিলার মেরিনা খাতুনের স্বামী সেকেন্দার আলী চাল বিতরনসহ অনিয়মের কারণে স্থানীয় লোকজন বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। ছালমা, আশরাফ, সামাদ, শফিকুল, মর্জিনা, কুলসুম, হেলালসহ উপস্থিত একাধিক ব্যাক্তি জানান, চাল নিতে আসা খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির উপকারভোগী কার্ডধারীদেরকে কাছ থেকে প্রতি ১ কেজি চালের জন্য ১৫ টাকা হিসাবে ৩০ কেজি চালের জন্য ৪৫০ টাকা নিয়ে চাল দেয়া হচ্ছে, সাড়ে ২৯ কেজি। হাফ কেজি (৫০০) গ্রাম চাল কমদেয়া হচ্ছে। এরসাথে আরো ১০ টাকা করে প্রতিটি কার্ড ধারীদের কাছ থেকে নেয়া আদায় করা হচ্ছে।
চাল কম ও অতিরিক্ত ১০ টাকার নেয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ডিলার মেরিনা খাতুনের স্বামী মোঃ সেকেন্দার আলী বলেন, গুদাম থেকে চাল নেয়ার সময় বস্তায় চাল কমথাকে, ফলে আমাদের ঘাটতি হয়। সেজন্য আমরা প্রতিটি কার্ডের ৩০ কেজি চালের পরিবর্তে হাফ কেজি (৫০০) গ্রাম চাল কম দিয়ে, সাড়ে ২৯ কেজি চাল বিতরন করেছি। অতিরিক্ত ১০ টাকা নেয়ার বিষয়ে বলেন, উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রন অফিসে অনলাইন প্রিন্ট, প্রিন্টারের কালি ও ফটোকপির জন্য। উপজেলা খাদ্য অফিস থেকে মীম নামের একজন আমাদেরকে নিতে বলেছেন। এব্যপারে উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা মোঃ আবু স¤্রাট খান’র সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সরকার থেকে অফিসে অনলাইন প্রিন্ট, প্রিন্টারের কালি ও ফটোকপির জন্য কোন বরাদ্দ না থাকায়, কার্ডধারীদের কাছ থেকে ১০ টাকা হারে টাকা নেয়ার জন্য ডিলারকে বলেছেন বলে স্বীকার করেন। তিনি বলেন, পরে টাকা নেয়া বন্ধ করা হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে, দক্ষিনপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ্যাড, মোঃ রফিকুল ইসলামের সাথে, তিনি জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী ইসতেহার ও সাধারন মানুষের সুখের কথা চিন্তা করে সরকার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি গ্রহন করেছে। উপকারভোগীরা টাকা দিয়ে চাল নেয়। ৩০ কেজির মধ্য এক দানা চাল কমদেয়ার সুযোগ নেই। কোন অযুহাতেই অতিরিক্ত ১০ টাকাতো দুরের কথা, কোন টাকা নিতে পারবেনা। চেয়ারম্যান এ্যাড, মোঃ রফিকুল ইসলাম, বিষয়টি প্রশাসনকে খতিয়ে দেখার আহবান জানান।
এব্যপারে উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রন অফিসে মাষ্টাররোলে কর্মরত পিয়ন, মীমের সাথে যোগাযোগ করা হলে সে জানায়, স্যাারের কথামত, অফিসের ফটোকপি ও অনলাইনের জন্য কার্ডধারীদেও কাছ থেকে ১০ টাকা হারে নেয়ার জন্য ডিলারদেরকে বলা হয়েছে।