‘‘হ্যালো..., টাকা পাঠাইছি তো, তোমাদের ইচ্ছে মতো কেনা কাটা করে নিও। হ্যালো..., হ্যালো...। আ-হা-রে আবার কল ড্রপ। মোবাইল ফোনে নেটওয়ার্কই পাওয়া যাচ্ছিল না। কি জানি ফোনটাই নষ্ট হলো কি না। খুবই খারাপ অবস্থা নেটওয়ার্কের। আমার-তো মনেই ছিলো না, আমার সিমটাই যে গ্রামীণ ফোনের। বেশ অভিজ্ঞতা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে নেটওয়ার্কের অবস্থা খুবই খারাপ।
শুক্রবার দুপুরে এ কথা গুলো বলছিলেন গ্রামীণফোনের সিম ব্যবহারকারী কয়েকজন গ্রাহক। এলাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলেই গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক ডাউনে চলেযায়। পৌর শহরের উকিলপাড়া এলাকায় গ্রামীণফোনের টাওয়ার থাকলেও টাওয়ারে কোন বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ চরম ভোগান্তিতে আছেন গ্রামীণ সীম ব্যবহারকারীরা। জরুরি অফিসিয়াল কাজ, তথা স্কুল কলেজের তথ্য প্রেরণ সহ স্থানীয় সংবাদকর্মীদের নিউজ প্রেরনেও ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, দুর্গাপুর পৌরশহর এলাকা সহ আশ-পাশের এলাকাতে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কে কথা বলতেই সমস্যা। বিদ্যুৎ চলে গেলে আমরা কোন কথাই বলতে পারছি না। আমাদের কর্পোরেট সিম হওয়ায় বাতিলও করা যাচ্ছে না। গত দুইদিন হলো এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করছে। নেটওয়ার্ক সমস্যা থাকায় ঢাকা অফিসে কোন ই-মেইল পাঠাতে পারছিনা। এ অভিযোগ বলবো কোথায় ? স্থানীয় ভাবে নাই কোন অফিস বা অভিযোগ কেন্দ্র।
অপর এক গ্রাহক আবদুল মোমেন বলেন, শহরের টাওয়ারে কোন জেনারেটর বা সোলার না থাকায়, কারেন্ট চলে গেলেই নেটওয়ার্ক ডাউনে চলে যায়। দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যা পোহাতে হচ্ছে আমাদের। বুধবার রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত কোন নেটওয়ার্কই ছিলো না। ফোর-জি থেকে মাঝে মাঝেই থ্রি-জি হয়ে যায়। যখন কারেন্ট আসে তখন নেটওয়ার্ক ঠিক হতে প্রায় আরো ১৫ মিনিট বা তারও বেশি সময় লেগে যায়। এ বিষয় নিয়ে গ্রামীণফোনের ১২১ এ অভিযোগ করেও কোন কাজ হচ্ছে না।