স্বাধীনবাংলাদেশের বিনির্মানে সকল জাতি, গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ অবদান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল জাঁতি গোষ্ঠীর সমানাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষে নিরলস শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি দলিত ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য যে সকল সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন, তা সুবিধাপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যেমন দায়িত্ব রয়েছে, তেমনি পিছিয়ে পড়া এই জনগোষ্ঠীকেও তাদের অধিকার আদায়ে সচেতন হতে হবে।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর পর্যটন মোটেলে আয়োজিত ‘সরকারি সেবা ও সম্পদে দলিত আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি’ সম্পর্কিত মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। রংপুর জেলা অ্যাডভোকেসি প্লাটফর্মের উদ্যোগে এবং এনএনএমসি ফাউন্ডেশনের ইনষ্টিটিউশনাল স্ট্রেনদেনিং অফ দ্যা নেটওয়ার্ক ফর ইনক্লুশান এ- এম্পাওয়ারমেন্ট অফ দলিত এ- ইথনিক মাইনোরিটি ইন নর্থ-ওয়েস্ট অফ বাংলাদেশ প্রকল্প এই মতবিনিময় সভা আয়োজন করে।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেনরংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নুরেআলম মিনা, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক (উপ-সচিব) আবদুল মোতালেব সরকার, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবদুল মতিন।
এতে সভাপতিত্ব করেন এনএনএমসি ফাউন্ডেশন রংপুর জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট মনিলাল দাস ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা অ্যাডভোকেসি প্লাটফর্মের সাধারণ সম্পাদক পার্থ বোস। এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন এনএনএমসির রংপুর জেলা সম্পাদক নরেন চন্দ্র পাহান, এনএনএমসি ফাউন্ডেশনের অ্যাডভোকেসি অফিসার পাপন কুমার সরকার প্রমুখ।
সভার শুরুতে ধারণাপত্র উপস্থাপনের মধ্যদিয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী হিসেবে দলিত ও আদিবাসীদের নাগরিক সুরক্ষা ও অধিকার বঞ্চিতের বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেন সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজের শিক্ষার্থী সৈয়দা রুহি জাকিয়া। এরআগে আদিবাসীরা নৃত্যু পরিবেশনের মাধ্যমে তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আদিবাসী ও দলিত জনগোষ্ঠীর অধিকারভিত্তিক টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নেটওয়ার্ক অফ নন-মেইনস্ট্রিমড মারজিনালাইজড কমিউনিটিজ (এনএনএমসি ফাউন্ডেশন) দাতা সংস্থা হেকস্/ইপার এর সহায়তায় অধিকারভিত্তিক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।