ভোলার দৌলতখানের চৌকিঘাটে অভিযান চলাকালীন সময়ে কোস্টগার্ডের ওপর চোরাকারবারিরা হামলা চালিয়ে দক্ষিণাঞ্চলীয় কোস্টগার্ডের ৪ সদস্যকে আহত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে চৌকিঘাটার রাধাবল্লভ বাজার মেঘনা তীর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার একদিন পরে বুধবার রাত ১১টার দিকে কোস্টগার্ড বাদি হয়ে চোরাকারবারি ১২জনসহ অজ্ঞাত আরও ৬৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. জাকির হোসেন। তবে তিনি তদন্তের স্বার্থে আসামীদের নাম বলতে রাজি হননি।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দক্ষিণাঞ্চলীয় কোস্টগার্ডের সদস্যরা মোটরসাইকেল যোগে মা-ইলিশের নিষেধাজ্ঞা অভিযান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মেঘনা নদীর তীর দিয়ে টহল দিচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চৌকিঘাটা গিয়ে দেখেন, চোরাইপথে গভীর মেঘনা থেকে আসা ট্রলার থেকে ডাঙায় তেল নামানো হচ্ছে। এ তেল গভীর মেঘনায় চলাচলকারী মালবাহী জাহাজ থেকে নামানো হয়। এ সময় কোস্টগার্ড সদস্যরা ট্রলারে উঠে ট্রলারের সমস্ত তেল জব্দ করেন। ঘটনাস্থলে আরও ফোর্স পাঠানোর জন্য কোস্টগার্ড ক্যাম্পে ফোন করেন। এ সময় চোরাকারবারিরা কোস্টগার্ডের সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা ও বেধরক পিটিয়ে আহত করে তেল নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত কোস্টগার্ড সদস্য মাসুম পারভেজ যার আঙুল কেটে ফেলেছে, মিজানুর রহমান, আতিকুল ইসলাম ও মো. ইব্রাহীম খলিলকে উদ্ধার করে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় কোস্টগার্ড থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. শাফিউল কিঞ্জল বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না।
তবে প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতে চোরাকারবারি সদস্যরা বিপুল পরিমান তেল নামায়। কয়েক ট্রলার তেল নামিয়ে প্রথমে দক্ষিণ মেঘনার দিকে নিয়ে যায়। বাকী কয়েক ট্রলার চৌকিঘাটা দিয়ে ওঠাচ্ছিল।