শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের হয়রানির অভিযোগে বিদ্যালয়ের মাত্র ৫২ জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে অধিকাংশই ক্লাসে অনুপস্থিত রয়েছে। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও অভিভাবকদের নিয়ে বৈঠক করেও শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। ঘটনাটি জেলার উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের গজেন্দ্র সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষার্থীদের একাধিক অভিভাবক ও স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, অতি সম্প্রীতি স্কুলের সামনের একটি পরিত্যাক্ত গাছ প্রধানশিক্ষককে না জানিয়ে মাঠের পাশে সরিয়ে রাখেন স্থানীয়রা। এ ঘটনায় প্রধানশিক্ষক স্থানীয়দের বিরুদ্ধে স্কুলের গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ এনে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করেন। এতে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা প্রধানশিক্ষকের অপসারন দাবী করে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। গত তিনদিন যাবত ওই বিদ্যালয়ের ৫২ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে চার থেকে পাঁচজন ব্যতিত কোন শিক্ষার্থীই স্কুলে আসছেনা।
ওই বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি সবুজ মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, প্রধানশিক্ষক বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে গত দুই বছর যাবত স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া নাই বললেই চলে। প্রধানশিক্ষক নিজের স্বেচ্ছাচারিতায় স্কুল পরিচালনা করে যাচ্ছেন। ফলে ছয়জন শিক্ষকের বিপরীতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫২ জনে এসে পৌঁছেছে।
অভিভাবকদের হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধানশিক্ষক রেহানা পারভীন বলেন, সহকারী শিক্ষিকাদের মাধ্যমে জানতে পারি স্কুলের একটি গাছ কেটে নেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে থানা পুলিশ এসে গাছ কাটায় বাঁধা প্রদান করেছেন। বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে না আসতে একটি পক্ষ উসকানি দিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও জানান, ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে ফিরিয়ে আনার জন্য অভিভাবকদের অনুরোধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উজিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাছলিমা বেগম জানান, ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে ফিরিয়ে আনার জন্য অভিভাবকদের নিয়ে বৈঠক করেছি। কিন্তু অভিভাবকরা ওই স্কুলে তাদের বাচ্চা না পড়ানোর ব্যাপারে অনঢ় রয়েছে।
এ ব্যাপারে উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারিহা তানজিন জানান, স্থানীয় সবুজ মোল্লা নামের এক ব্যক্তি দুইবার ওই স্কুলের সভাপতি ছিলো। এখন আবার সভাপতি হতে চায়। এটা পারতেছে না বলেই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, প্রধানশিক্ষককে অন্যত্র বদলির প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।