অবশেষে পায়রা নদীতে ডুবে যাওয়া শিশু কাওসারের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছেন ওসি একেএম মিজানুর রহমান। বৃহস্পতিবার সকালে শিশুর মা কুলসুম বেগমের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
জানাগেছে, ঢাকা-আমতলী রুটে চলাচলকারী শতাব্দি বাঁধন লঞ্চের কাওসার ও শিহাব নামের দুই শিশু শ্রমিক বুধবার দুপুরে পায়রা নদীতে গোসল করতে নামে। গোসল শেষে শিহাব তীরে উঠলেও কাওসার উঠতে পারেনি। খবর পেয়ে আমতলী ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার অভিযান চালায়। দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে তারা ব্যর্থ হয়। পরে পটুয়াখালী ফায়ার সাভিসের ডুবুরী দল এসে উদ্ধার কাজে যোগ দেয়। চার ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে পায়রা নদী থেকে পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী মোঃ মজিবুর রহমান ওইদিন সন্ধ্যায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেছেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন শিশু শ্রমিক পায়রা নদীতে নিখোঁজের পরপর শতাব্দি বাঁধন লঞ্চটি দ্রুত আমতলী ঘাট ছেড়ে গেছে। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ শিশুটির পরিবারের পরিচয় দিতে রাজি হচ্ছে না। বুধবার রাতে আমতলী থানার ওসি একে এম মিজানুর রহমান নিহত শিশুর পরিবারের সন্ধান চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহায়তা নেন। বৃহস্পতিবার সকালে শিশুর পরিবারের সন্ধান মেলে। ওইদিন সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে শিশুর মা মোসাঃ কুলসুম বেগমের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। শিশুটির বাবার নাম মোঃ কাসেম হাওলাদার। তার গ্রামের বাড়ী আমতলী উপজেলার চলাভাঙ্গা গ্রামে। বাবা মায়ের বিয়ে বিচ্ছেদ হাওয়ায় শিশু কাওসারকে নিয়ে মা কুলসুম বেগম নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা বসবাস করেন।
শিশুর মা কুলসুম বেগম কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, মোর মানিকরে মুই এইরহম মরা পামু হ্যা মুই ভাবি নাই। ও আল্লাহ তুমি মোর কোল খালি হইর্যা মানিকরে এইরম লইল্যা গ্যালা।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, শিশুটির মরদেহ মা কুলসুমের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।