খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক ও খুলনার ৬ জন সংসদ সদস্যকে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার। গত ১১ অক্টোবর পাঠানো চিঠিতে সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পরিপত্র-৫ অবগত ও প্রতিপালনের অনুরোধ করা হয়।
গত ৩ অক্টোবর খুলনা ক্লাবে জেলার ৯ উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্যসহ জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটারদের নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে সভায় সিটি মেয়র প্রধান অতিথি এবং খুলনার ৬ জন সংসদ সদস্য বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। সেখানে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোট চান তারা।
এ বিষয়ে গত ৬ ও ১০ অক্টোবর খুলনার মেয়রসহ এমপিদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ করেন খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা এবং ডা. শেখ বাহারুল আলম। পরদিন ১১ অক্টোবর রিটার্নিং কর্মকর্তা পরিপত্র প্রতিপালনের বিষয়ে মেয়র ও এমপিদের কাছে চিঠি পাঠান। এদিকে আগামী ১৭ অক্টোবর খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ঘর অনেকটাই গোছাতে সক্ষম হয়েছেন দাবী সর্বস্তরের নেতাদের। ক্ষমতাসীন দলের জেলা পরিষদ নির্বাচনী টিম নির্বাচনের আগে খুলনা সিটি করপোরেশনসহ নয়টি উপজেলায় নিরবাচনী সফর ও মতবিনিময় সভা করছেন।
প্রতিটা উপজেলায় মতবিনিময় সভায় ইউপি চেয়ারম্যানদের বক্তব্যে একটা বাস্তব চিত্র খুলনা নগরী ও জেলা নেতৃবৃন্দের দৃষ্টিগোচরে চলে এসেছে। সেটা হলো উপজেলা ও ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে বিবেধ। অর্থাৎ পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে স্বপক্ষ ও বিদ্রোহী। আর এ নিয়েই দলের মধ্যে তৈরি হয়েছে নানা গ্রুপের। এদিকে দলের কিছু শীর্ষ নেতাদের বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যানদের সাথে গোপন ঘরোয়া আলাপচারিতা ও মতবিনিময়ে রাগ ও ক্ষোভ অনেকটা প্রশমিত হয়েছে এমন ধারণা নেতৃবৃন্দের বলে এক সূত্রে জানা গেছে। নেতৃবৃন্দের একটা সূত্র থেকে জানা গেছে, তারা ভোটারদের রাগ-ক্ষোভ প্রশমিত করে ঘর গুছিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা সংগঠনকে ভালো বাসে। দলের নেতা ও প্রতীককে ভালো বাসে। যারা আওয়ামী লীগের কর্মী তারা দলের বাইরে ভোট দিতে পারেনা এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন দলের খুলনা মহানগরী, জেলাসহ দলের কতিপয় শীর্ষ নেতারা।
নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের ব্যাপরে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে একটি পরিপত্র দেওয়া হয়েছে। সেখানে কিছু নির্দেশনা আছে, আমরা নির্দেশনার বিষয়টি মেয়র, সংসদ সদস্যদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি।