আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য খুলনা জেলা পরিষদের নির্বাচনকে সামনে রেখে শেষ মুহুর্তে জোর প্রচারনায় প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীরা। নতুন নাকি পুরাতনে আস্থা এমন আলোচনা চলছে সর্বত্র।
দাকোপ উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত সাধারন আসন। আর সাথে নতুন যোগ হওয়া কয়রা এবং পাইকগাছা উপজেলা নিয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনী এলাকা। দাকোপে মোট ভোটার সংখ্যা ১৩৩। আসন্ন খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবীন রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশিদ (মোটর সাইকেল), জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক এস,এম মোস্তফা রশিদী সুজার সহোদর সাবেক ছাত্রলীগনেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী এস, এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা (চশমা) এবং স্বতস্ত্র প্রার্থী ডাঃ শেখ বাহারুল আলম (আনারস)। সাধারণ সদস্য পদে সদ্য সাবেক সদস্য কবির হোসেন খান (হাতি), সাবেক চেয়ারম্যান সরোজিত কুমার রায় (টিউবওয়েল), মহিউল আলম খান (তালা) এবং অসীম কুমার বৈদ্য ঢোল)। সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য পদে সদ্য সাবেক সদস্য জয়ন্তী রানী সরদার (হরিণ), জয়শ্রী রায় (টেবিল ঘড়ি), নাহার আক্তার (ফুটবল), নিলীমা রানী চক্রবর্তী (মাইক), বিজলী বৈদ্য (দোয়াত কলম), মাধুরী মন্ডল (বই), মোছাঃ নাজমা খাতুন (লাটিম) এবং মোছাঃ রওশানারা টেলিফোন) প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। ১ নং ওয়ার্ড দাকোপে ৩ পদের মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নিয়ে ভোটারদের পাশাপাশি সাধারনের মাঝে জোর আলোচনা চলছে। ৩ প্রার্থীর মধ্যে আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশিদের মোটর সাইকেল প্রতিকের পক্ষে প্রচারনা অনেক এগিয়ে। ইতোমধ্যে প্রার্থীর উপস্থিতিতে চালনা পৌরসভা অডিটোরিয়ামে দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিতব্য মত বিনিময় সভায় প্রায় শতভাগ ভোটার উপস্থিত ছিলেন। সভায় খুলনা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল পর্যায়ের অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে শেখ হারুনুর রশিদের মোটর সাইকেল প্রতিকে ভোট প্রার্থনা করেন। এ ছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য ননী গোপাল মন্ডল, দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব শেখ আবুল হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক বিনয় কৃষ্ণ রায়ের নেতৃত্বে প্রতিদিন দাকোপের বিভিন্ন ইউনিয়নে গন সংযোগ মত বিনিময় সভা চলমান আছে। সব মিলিয়ে দিন যতই যাচ্ছে মোটর সাইকেল প্রতিকের বিপুল বিজয়ের সম্ভবনা ততই জোরালো হচ্ছে। অপর দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী এস, এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা চশমা প্রতিকে ভোট প্রার্থনা করে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গন সংযোগ ও মত বিনিময় সভা করেছেন। বিএনপি সমর্থিতসহ মোটর সাইকেল বিরোধী ভোট তার পক্ষে যাওয়ার জোর আলোচনা শোনা যাচ্ছে। প্রকাশ্যে না হলেও বর্তমান রাজনীতিতে নিষ্কিৃয় দাকোপে এক সময়ের সুজা গ্রুপ খ্যাত সাবেক ছাত্রলীগনেতাদের অনেকে তার সমর্থনে আছে বলে গুঞ্জন আছে। অপর প্রার্থী ডাঃ শেখ বাহারুল আলমের আনারস প্রতিকের পক্ষে চোখে পড়ার মত তেমন কোন প্রচারনা লক্ষ্য করা যায়নি। সদস্য পদে কবির খানের সাথে সরোজিত রায়ের প্রতিদ্বন্দিতা হতে পারে এমন আলোচনা চলছে। এ ছাড়া সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য পদের নির্বাচন অপর দু’টি উপজেলা পাইকগাছা কয়রা নিয়ে হওয়ায় এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার একাধিক প্রার্থী থাকায় ভোটাররা খানিকটা গোলক ধাধার মধ্যে আছে। তবে দাকোপে সদ্য সাবেক জয়ন্তী রানীর পাশাপাশি জয়শ্রী রায়ের নাম জোরে সোরে শোনা যাচ্ছে। নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ভোটারদের বাড়ী বাড়ী প্রার্থীদের যাতায়াত ততই বৃদ্ধি পাঁচ্ছে। নির্বাচনে নগত অর্থ এবং বিভিন্ন ধরনের উপহার সামগ্রী দিয়ে ভোট নিশ্চিত করার গুঞ্জন সর্বত্র শোনা যাচ্ছে।