খুলনার পাইকগাছা থানা রুমে বসে ওসি জিয়াউর রহমান এর সাথে নিয়মিত মামলার আসামীর চা চক্র ও খোস গল্পের আড্ডা। ১৩ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) রাত ৮টা থেকে রাত ১০টা ১০মিনিট পর্যন্ত আসামির সাথে আড্ডার ঘটনা ফাঁস হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের শাহাপাড়ায় ৪শ বছরের পুরাতন কবর স্থান দখল করাকে কেন্দ্র করে থানায় চলতি মাসে নিয়মিত মামলায় ৭নং ও জিআর ২৬৭/২২ মামলার আসামি মাসুদ খানকে নিয়ে ওসি জিয়াাউর রহমান দুই ঘন্টার অধিক সময় চা চক্র ও খোস গল্পের আড্ডায় মোশগুল ছিলেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে সাংবাদিকরা ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে থানার সামনে গেলে সাংবাদিকদের দেখে আসামি মাসুদ খান থানা থেকে বেরিয়ে ভো-দৌঁড় দিয়ে পালিয়ে যান। যা নিয়ে স্থানীয় মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। সম্প্রতি ঘের দখল, জমি দখল সহ জমা-জমি ও টাকা আদায় সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়মিত থানায় আদালত বসিয়ে শালিসী দরবার চলে। যা নিয়ে অনেকের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থানার একজন এসআই বলেন, উপজেলার দীঘা গ্রামের উদয় সানা ও খড়িয়া গ্রামের উত্তম ঢালী সহ আরো কতিপয় দালালদের সাথে ওসির সার্বক্ষণিক চলাফেরা ও উঠা বসার কারণে থানার গোপণীয়তা রক্ষা করা যাচ্ছে না ও অনেক লোকজন থানায় এসে পুলিশী সেবা পাচ্ছে না। ঐ চা চক্রে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে চাঁদখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাদা মো. আবু ইলিয়াসের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি ওসির রুমে বসে পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি এ্যাড. এফএমএ রাজ্জাকের সাথে একটি মামলার বিষয় নিয়ে আলাপ করছিলাম। অন্যদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দারোগা হাফিজুর রহমান সাংবাদিককে জানান, নিয়মিত মামলার আসামি ওসি স্যারের রুমে থাকলে আমি দারোগা কি করবো? ভুক্তভোগী সূত্রে জানাযায়, ওসি জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়েছে এবং আগামীতে আরো হবে। থানা ওসি জিয়াউর রহমান সরকারি ফোন নম্বরে বলেন, একজন চেয়ারম্যান আসলে চা খাওয়াতে পারবো না, আসামীর সাথে আড্ডা প্রশ্নে বলেন আসামি জামিনে আসলে কথা বলা যাবে না। তবে আদালত বসানোর বিষয় প্রশ্ন করলে এড়িয়ে যান।