বিয়ে পাগল এক লন্ডনীর নাম আজাদীর হোসাইন। আজাদীর হোসাইনের লাম্পট্যের শিকার তার প্রথম স্ত্রী লন্ডনে বসবাসরত জমিলা বেগম। মানবেতর জীবন যাপনে ফেলে দিয়ে বাংলাদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিয়ে করার জন্য। তার স্ত্রী জমিলা বেগমের দেয়া আন্তর্জাতিক মানবাধীকার সংস্থার এক আবেদন পত্র সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় লম্পট আজাদীর হোসাইন একের পর এক প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে নিজের হাতে বানানো একটি ডিভোর্স লেটার কনে পক্ষের নিকট প্রদর্শন করে প্রলোভনে ফেলার এক সুন্দর ফন্দি এঁটেছেন। অথচ তার স্ত্রীর দাবী তিনি স্ত্রীকে ডিভোর্স দেননি আদৌ। এমনকি ডিভোর্স দেয়া কিংবা ডিভোর্স মেনে নেয়া কোন পক্ষেরই সম্ভব নয় বলে জানা গেছে। তার স্ত্রী জমিলা বেগমের অভিযোগ থেকে আরো জানা গেছে, নানারকম প্রলোভনে স্ত্রী থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে আজাদীর হোসাইন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তার বাংলাদেশের গ্রামের বাড়ী মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার উপজেলার কয়েকজন গ্রাম্য ঘটককে নিয়োগ দিয়েছেন এ কাজে তাকে সহযোগিতা করার জন্য। তারা আইনের প্রতি তোয়াক্কা না করে টাকার লোভে লম্পট আজাদীর হোসাইনের ফরমাইশ মতো হয়তো এমন কোন কান্ড ঘটে যাবে বলা যায় না। সংবেদনশীল ঘটনা রূপ নিতে পারে কোন ভয়ংকর ট্রাজেডির। কোন সরলমনা অভিভাবকরা আজাদীর প্রতারনার ফাঁদে পড়ে হয়তো অবলা মেয়েটির সর্বনাশ করতে পারবে। হয়তো আজাদীর ছিটিয়ে দেয়া অর্থ কিংবা লন্ডনী বরের তকমাকে ব্যবহার করে এ দেশের কোন সহজ সরল পরিবারের বিবাহ যোগ্য কোন কন্যাকে বিয়ে করে ফেলতে পারে, কিন্তু সবকিছু চুষে নিয়ে শেষে আবার উচ্ছিষ্ট মনে করে ফেলে দিতে দ্বিধা করবে না লম্পট আজাদীর। তার চরিত্রই এমন। এমনকি সে ডমিষ্টিক ভায়োলেন্স এর একজন অভিয্ক্তু ব্যাক্তি। তার লন্ডনের স্ত্রী জমিলা বেগমের উপর নিজের হাত উঠিয়ে এই ভায়োলেন্স সৃষ্টি করেছেন। এখন অভিযুক্ত হয়ে তড়িগড়ি করে নতুন একটি বিবাহ করে বৃটেনের আদালতে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। গত এপ্রিল মাসেও চেষ্টা করেছিল আমি কুলাউড়া থানায় অভিযোগ করলে থানার তৎকালীন ওসি সাহেব এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহোদয় এর হস্তক্ষেপে তার সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে পুলিশের নিকট জন প্রতিনিধির মাধ্যমে প্রতিজ্ঞাপূর্বক সেযাত্রায় রক্ষা পায়। তবে তার স্ত্রী এই প্রতিবেদকের নিকট জোর দিয়ে বলেছেন তিনি বেঁচে থাকতে তার স্বামীর দুরভীসন্ধিমূলক ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে দেবেন না। তিনি আরও বলেন আমি জানতে পেরেছি যে তার এক বন্ধুর ডিভোর্স এর কাগজ চেয়ে নিয়ে এগুলো ডুপ্লিকেট করে তার কার্য্য সিদ্ধির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। লম্পট আজাদীর হোসাইন এখন প্রলোভন দিয়ে আরেকটি বাঙ্গালী মেয়ের জীবন নষ্ট করুক এটা তিনি চান না বলে এই প্রতিবেদকের নিকট জানিয়েছেন। তার গ্রামের বাড়ী বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের হিংগাজিয়া গ্রামে। তার পিতা মৃত আরজান আলী একজন বহিস্কৃত শিক্ষক ছিলেন। গরীব পরিবারের সন্তান আজাদীর হোসাইন অর্থ ও নারী লোভী বলে জানিয়েছেন তিনি। তার ঔরসজাত ৩টি সন্তান ও স্ত্রী রেখে যে বিবাহ করতে উদ্যোগী হয় সে নিঃসন্দেহে অত্যান্ত বাজে লোক বলে আখ্যা দেন তিনি। আজাদীর হোসাইনের সাথে যোগাযোগ করলে তার ব্যবহৃত বাংলাদেশের মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগ করলে তারা এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন।